—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন, টিএমসিপির কর্মীদের বিরুদ্ধে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে যোগ দিতে যাওয়া এক নেত্রীর সঙ্গে চলন্ত ট্রেনে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ ওঠায় এবার রেল কর্তৃপক্ষকে দুষলেন তৃণমূল নেতা। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ধূপগুড়ি পুরসভার উপ-পুরপ্রধান রাজেশ সিংহ বলেন, “ট্রেনে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।” তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী দোষীদের আড়াল করতে চাইছে দল? ট্রেনের নিরাপত্তার অভাব বলে কী অভিযুক্ত কর্মীদের ভূমিকা এবং দলের দায় কী লঘু করতে চাইছে জেলা নেতৃত্বের একাংশ?
টিএমসিপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি গৌরব ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, অভিযোগ সত্যি হলে দোষীদের কাউকে আড়াল করা হবে না। তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হযেছে। তৃণমূল এমন একটা দল যে দোষী কাউকে আড়াল করে না। আমরা পুরোটা খতিয়ে দেখছি। দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযোগকারী নেত্রীর সঙ্গে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে টিএমসিপির নেত্রীদের অনেকেই অভিযোগকারী নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। শনিবার অভিযোগকারিনী ট্রেনে কলকাতা রওনা হয়েছিল সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে যোগ দিতে। সে সময়ে ট্রেনে টিএমসিপির একদল সদস্য তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে রবিবার ফেসবুক লাইভে (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁকে অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছিল, টিএমসিপি সদস্যদের একাংশের আচরণ এমনই উশৃঙ্খল যে তারা কোনও মেয়েকে ধর্ষণও করতে পারে। দু’জনকে ‘হিংস্র পশু’ বলেও উল্লেখ্য করেছিলেন তিনি। জেলা টিএমসিপির এক নেত্রী বলেন, “আমি এ নিয়ে দু’বার প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় গেলাম ট্রেনে। রাত হলেই দেখেছি অনেকের আচরণ পাল্টে যায়। মনে হয় তাদের কয়েকজনের ওপরে যেন কোনও নেশা ভর করেছে।”
সোমবার ধূপগুড়িতে ভোট প্রচারে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল মহিলাদের সম্মান করতে পারে না, লাঞ্ছনা করে।” জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ থেকে মণিপুরের কথা দেশবাসী জানে। এ রাজ্যেই দোষীদের দ্রুত শাস্তি হয়।”