National Highway

National highway: কাজ শেষ হয়নি, তবু বসছে টোল

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, জমি জটের কারণে রাস্তার বহু অংশে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১ ০৬:২৫
Share:

ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার লাগোয়া হুসলুডাঙার কাছে বসেছে নতুন টোল প্লাজা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।

মহাসড়কের কাজ এখনও বাকি। সেই অর্ধনির্মীত এবং খানাখন্দযুক্ত সড়কেও এ বার টোল ট্যাক্স চালু হচ্ছে। এমনই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়কে শিলিগুড়ি থেকে ধূপগুড়ি পর্যন্ত প্রায় ৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় দু’টি টোল সংগ্রহের কাউন্টার বসিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। গত ১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই দুই কাউন্টার থেকেই টোল ট্যাক্স সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোন সংস্থা টোল সংগ্রহ করবে, সে জন্য টেন্ডারও করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বরাত পাওয়া সংস্থার কর্মী-আধিকারিকেরা ইতিমধ্যে জলপাইগুড়িতে চলে এসেছেন। সূত্রের খবর, একটি উচ্চ পর্যায়ের পরিদর্শনের পরেই টোল সংগ্রহ শুরু হয়ে যাবে। এখানেই প্রশ্ন উঠে পড়েছে, যে সড়ক তৈরির কাজই শেষ হল না, সড়কের কিছু অংশ খানাখন্দে ভরা রয়েছে, সেখানে কর নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত?

Advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের একাংশও এই নিয়ে অবাক। সাধারণত সড়কের কোনও অংশের কাজ পুরো শেষ হওয়ার পরেই টোল গেট বসে এবং কর সংগ্রহ শুরু হয়। নতুন যে দু’টি গেটে টোল সংগ্রহ শুরু হচ্ছে, সেগুলির একটি ফাটাপুকুরের কাছে পানিকৌড়তে, অন্যটি ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডার লাগোয়া হুসলুডাঙার কাছে। শিলিগুড়ি থেকে ধূপগুড়ি পর্যন্ত এই ৮১ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় ৯ কিলোমিটার যাতায়াতের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে যাত্রীদের। তা হলে কেন তড়ঘড়ি কর সংগ্রহ শুরু?

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, জমি জটের কারণে রাস্তার বহু অংশে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। যে সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছিল, চুক্তি শেষ হওয়ার পরে তারাও কাজ করতে রাজি নয়। ফলে নির্মাণ প্রক্রিয়া গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ দিকে কাজ শেষ হয়নি বলে রাজস্ব সংগ্রহ বন্ধ রাখতেও রাজি নন কর্তৃপক্ষ। তাই দিল্লির নির্দেশে টোল নেওয়া দ্রুত শুরু হতে চলেছে বলে দাবি।

Advertisement

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প আধিকারিক সঞ্জীব শর্মা বলেন, “টোল নেওয়ার অনুমোদন দিয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তবে টোল সংগ্রহ শুরু হয়নি। কাজ শেষ হওয়ার জন্য আরও একটু অপেক্ষা করতে চাইছি।”

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, জমিজট মেটাতে প্রক্রিয়া চলছে। প্রশাসনের সূত্রের দাবি, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ বাড়াতে না চেয়ে ‘একরোখা’ মনোভাব নেওয়াতেই জমিজট সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement