—প্রতীকী চিত্র।
ক্ষুদ্র চা বাগানে ক্ষতিকারক পোকামাকড় মারতে প্রায় দশ রকমের ‘নিষিদ্ধ’ কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিষিদ্ধ কীটনাশকের প্রভাব চায়ের মধ্যে থাকছে, এ রকমই তথ্য উঠে এসেছে। এর জেরে ক্যানসার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে দাবি। ভারতীয় চা পর্ষদের নির্দেশ মেনে জলপাইগুড়ি ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি এই সব নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধ করে নিরাপদ চা উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রচার শুরু হল শনিবার থেকে।
উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রায় ৪০ হাজার ক্ষুদ্র চা বাগান রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই বাগানের থেকেই কয়েক লক্ষ মানুষের রুটিরুজি চলছে বলে দাবি। চা বাগানের একাংশ চা চাষি নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এ ধরনের কীটনাশকের প্রভাব তৈরি চায়ের মধ্যে থেকে যায়। যা প্রতিদিন চায়ের মধ্যে দিয়ে মানুষের শরীরে বিষ হয়ে ঢুকছে বলে অভিযোগ। এ কারণে চা পর্ষদ নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তার পরেও একাংশ চা চাষি এই ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ।
অবশেষে চা পর্ষদের নির্দেশে ও বটলিফ কারখানার চাপে নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করতে সচেতনতা প্রচারে নামল জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি। এলাকা ধরে ধরে চা চাষিদের নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের উদ্দেশ্যে আলোচনা সভা করা হচ্ছে। আলোচনা সভায় চাষিদের হাতেকলমে বোঝানো হচ্ছে, যে কীটনাশক ব্যবহার করলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সমিতির দাবি, চার দিন পাতা কেনা বন্ধ ছিল। এই প্রভাব খুব ভাল ভাবে পড়েছে চা চাষিদের মধ্যে। গ্রামীণ এলাকার কৃষিকাজে কীটনাশক বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা চা চাষিদের নিষিদ্ধ কীটনাশক বিক্রি না করেন।
সমিতির জেলা সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চা সকলে পান করেন। সকলের জন্য নিরাপদ চা তৈরি করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সব এলাকার চা চাষিদের নিয়ে আমাদের সচেতনতামূলক কর্মশালা শুরু হয়েছে। ভোটের পরে রাজ্য কৃষি দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক হবে।’’