(বাঁ দিকে) তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। দুলাল সরকার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় দলেরই টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার কয়েক দফায় ওই নেতাকে ইংরেজবাজার থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। থানায় ডেকে পাঠানো হয় নরেন্দ্রনাথের দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অখিলেশ তিওয়ারিকেও।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইংরেজবাজার থানায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নরেন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত থানা থেকে বার হতে দেখা যায়নি ওই তৃণমূল নেতাকে। পরে তাঁর দুই ভাইকেও ডাকা হয়। তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। নরেন্দ্রনাথ অবশ্য দাবি করেন, এই ঘটনায় আমাদের বাড়ির কেউ জড়িত নন। আমরা পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।
গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের কারখানার কাছেই খুন হন দুলাল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রাণ বাঁচাতে কারখানায় ঢুকে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তিন দুষ্কৃতীকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর কারণ হিসাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী চৈতালি সরকার। স্বামীর খুনের ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও চৈতালির দাবি, একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন দুলাল। ঘটনাক্রমে সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ফরেন্সিক দল। তারা বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তার পর মঙ্গলবার ওই মামলার তদন্তে তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ এবং তাঁর দুই ভাইকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
অন্য দিকে, তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে পুরসভার ভোটে দুলালের গোষ্ঠী এবং নরেন্দ্রনাথের গোষ্ঠীর গন্ডগোল হয়েছিল। দুলালের অনুগামীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন নরেন্দ্রনাথের এক ভাই। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের সঙ্গে দুলালের খুনের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। সেই সূত্রেই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।