—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার তাঁরই ‘ঘনিষ্ঠ’। বীরভূমের কঙ্কালীতলায় উপপ্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন শেখের বাড়িতে বোমাবাজি হয় গত শনিবার। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার অর্ঘ্য মল্লিক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি নদিয়ায়। রাজমিস্ত্রির কাজ করেন তিনি। থাকতেন বোলপুরে বাড়ি ভাড়া করে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, মামনের আশপাশেই সর্বদা ঘোরাঘুরি করতেন অর্ঘ্য। পুলিশ গা বাঁচাতে তাঁকে পাকড়াও করেছে। ধৃত যুবকও দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
গত শনিবার কঙ্কালীতলার লায়েকবাজার এলাকায় মামনের বাড়িতে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। তার আগে ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন নানুরের বিধায়ক বিধান মাজি। অন্য দিকে, বোমাবাজির ঘটনার পর জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য নিজের বাড়িতে বোমাবাজির নাটক করছেন পঞ্চায়েত উপপ্রধান। মঙ্গলবার গ্রেফতারির ঘটনার প্রেক্ষিতে উপপ্রধান মামন বলেন, ‘‘আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। সেই মতো তদন্ত করেছি পুলিশ। তদন্তে পুলিশ যা পাবে, তাই তো করবে।’’
এর আগে মামন সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের প্রাণসংশয়ের অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজমিস্ত্রি অর্ঘ্য লায়েকবাজারের ঝর্নাডাঙায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। কী ভাবে এবং কেন তিনি বোমাবাজির ঘটনায় যুক্ত, তা জানার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবারই বোলপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয় তাঁকে। অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আলেফ শেখের দাবি, ‘‘যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁকে প্রায়ই উপপ্রধানের সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকতে দেখা যেত। তাই এখান থেকেই স্পষ্ট, নিজের বাড়িতে বোমাবাজি করার ছক করেছিলেন উপপ্রধানই।’’
সব মিলিয়ে উপপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে জেলা তৃণমূলের অন্দরেই দু’রকম সুর শোনা যাচ্ছে।