মিনা সরকার, দীপ্তি গুহ, রেখা সাহা।
পর পর দু’বছর। অতিমারির জেরে এ বছরও জমে উঠল না জামাইষষ্ঠীর বাজার। জামাই আদর করতে না পেরে স্বাভাবিক ভাবেই মুখভার শাশুড়িদের। জামাইকে নিজের হাতে রেঁধে খাওয়ানোর ইচ্ছে প্রত্যেক শাশুড়ি মায়েদেরই থাকে। মেয়ের বিয়ের পর প্রথমবার জামাই আদরের জন্য মুখিয়ে থাকেন শাশুড়িরা। কিন্তু পর পর দু’বছর বাঙালির এই সাধের পার্বণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিড। গত বছরের মতো এ বছরও কড়া বিধি নিষেধের জেরে শ্বশুরবাড়ি যেতেই পারলেন জামাইরা। এই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালেই জামাইদের আশীর্বাদ করছে শাশুরিরা।
দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতোই শেষমেশ ভিডিয়ো কলে আশীর্বাদ-পর্ব সারতে দেখা গেল শাশুড়ি মায়েদের। নাতি-নাতনি-সহ আট মেয়ে-জামাই, কেউই আসতে না পারায় স্বাভাবিক ভাবেই মনখারাপ রায়গঞ্জের মিনা সরকারের। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠীতে সবাই আসে। বাড়িটা ভরা ভরা লাগে। করোনার দু’বছর কেউই আসতে পারল না। এত খারাপ লাগছে, বলে বোঝাতে পারব না।’’
মেয়ে-জামাই আসতে না পারায় কেঁদেই ফেললেন দীপ্তি গুহ। ভিডিয়ো কলেই মেয়ে-জামাইয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা করলেন তিনি। বলেন, ‘‘রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল বন্ধ। আসবে কী করে! প্রত্যেক বছর ওরা আসে। এই দু’বছরই আসতে পারল না।’’ একই কথা বললেন রায়গঞ্জেরই রেখা সাহা। তাঁর কথায়, ‘‘ভিডিয়ো কলেই জামাই আদর করতে হল। ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করলাম, মেয়ে-জামাই ভাল থাকুক, সুস্থ থাকুক। দীর্ঘজীবী হোক। চাই, আগামী বছর যেন এ রকম পরিস্থিতি না থাকে। সব ঠিক হয়ে যাক। মেয়ে-জামাই যেন সামনের বছর আসতে পারে।’’