—প্রতীকী ছবি।
পর পর তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মালদহের রতুয়া থানার পাঁচপাড়া কলোনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম ছবিনা খাতুন (২৫)। শুক্রবার তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে মালদা জেলার রতুয়া থানার আলিপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল আলমের মেয়ে ছবিনা খাতুনের বিয়ে হয় পাঁচপাড়া কলোনির যুবক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, প্রথম কন্যাসন্তান হওয়ার পর থেকেই ছবিনার উপর অত্যাচার শুরু হয়। পরে আরও দুই কন্যাসন্তান জন্ম নিলে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে। ছবিনার ভাই মাসিকুল আলম জানান, বৃহস্পতিবারেও দিদির উপর অত্যাচার চলেছে। সেই ছবিনাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মাসিকুল। তাঁর দাবি, খুনের পর দিদিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ফেলে রেখে চলে যান শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ছবিনার বাপেরবাড়ির লোকেরা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
ছবিনার বাপের বাড়ির তরফে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছে মৃতার পরিবার। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘মালদহ মেডিক্যাল কলেজে মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে শুক্রবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার পর থেকেই ছবিনার স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।’’