KLO

KLO: কেএলও: হানার আশঙ্কা পুলিশে

কেএলও নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে যে কোনও সময় নাশকতা বা কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২১ ০৬:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) নিয়ে চূড়ান্ত সতর্ক করা হল উত্তরবঙ্গের সাত জেলার পুলিশ সুপার, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে। গত মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে রাজ্য পুলিশের গোিয়েন্দা প্রধান, এডিজি (আইবি) উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে বঙ্গ বিভাজন থেকে কেএলও-র সক্রিয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেই বি‌ভিসন্ন জ়োনের ডিআইজি-র মাধ্যমে পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সতর্ক করা হয়।

Advertisement

রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের ওই সতর্কবার্তায় অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, কেএলও নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে যে কোনও সময় নাশকতা বা কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে। দাবি, নম্নি অসমে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকার জন্য হুমকি ফোন আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে অস্ত্র, রসদের জন্য টাকা তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। গ্রাম থেকে শহর লিঙ্কম্যানদের চিহ্নিত করে থানা ভিত্তিক সতর্ক করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ) দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জলপাইগুড়ির পুলিশের এক অনুষ্ঠানে এসে বলেন, ‘‘কেএলও-র কিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’’ হুমকি ফোনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে— আমাদের কাছে এখনও এমন অভিযোগ আসেনি।’’

Advertisement

পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গত বছর লকডাউন মেটার পর থেকে নিজেদের শক্তি পুনরুদ্ধারে নেমেছে কেএলও। জীবন সিংহ অসম এবং উত্তরবঙ্গের যুবকদের নিয়ে তৈরি একটি দলের ঘেরাটোপে থাকছেন। প্রথমে নম্নি অসমে নতুন ব্যাচের জন্য যুবকদের খোঁজখবর চলেছে। তার মধ্যেই ব্যবসায়ীদেরও ফোন করা হয়েছে। বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের কাছে এ খবর এসেছে। এবার জীবন সিংহের নজর যে উত্তরবঙ্গে পড়েছে, তা তাঁর সাম্প্রতিক হুমকি-বার্তাতেই স্পষ্ট।

পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, অতীতে দেখা গিয়েছে, চা বাগান মালিক, বড় ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, অফিসারদের কাছে কোনও ঘটনা ঘটনার পরে ফোন আসত। অর্থাৎ, ভয় পাইয়ে টাকা তোলা। উত্তরবঙ্গে একের পর এক অপহরণের ঘটনাও ঘটে। এই ভাবে টাকা তুলে রসদ ও অস্ত্র কেনা হত। গোয়েন্দারা মনে করছেন, এ বারেই সে দিকেই এগোচ্ছে কেএলও। এক সময় কেএলও বিরোধী পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) এক কর্তা জানান, ২০১৭ সালের পর কেএলও শেষ বলে ধরা হয়। কিন্তু তলে তলে ওরা শক্তি সঞ্চয় করছে। বিশেষ করে পুলিশ গত বছর থেকে করোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। আপাতত বিভিন্ন জেলায় থাকা পুরনো লিঙ্কম্যানদের উপর নজরদারি শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement