ফাইল ছবি।
শিবকে বিয়ে করতে কৈলাসযাত্রা লখনউয়ের মহিলার। ভারত-চিন সীমান্তের অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা, বরফে ঢাকা হিমালয়ের কোলে বসে রয়েছেন এক যুবতী। দাবি করছেন, তিনিই নাকি পার্বতী! অপেক্ষা করছেন কৈলাস নিবাসী শিবকে বিয়ে করবেন বলে!
হরমিন্দর কউর নামে ওই যুবতীকে হিমালয় থেকে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কাছাকাছি যেতেই হরমিন্দর পাহাড় থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি দেন। তাঁর হাবভাব দেখে আর এগোতে সাহস করেনি পুলিশ। ফিরে আসে। পিথোরাগড়ের পুলিশ সুপার লোকেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘আমরা আরও বড় একটি দল পাঠাব বলে ঠিক করেছি। প্রয়োজন হলে তাঁকে জোর করে ধরচুলায় নামিয়ে আনা হবে।’’ এলাকাটি আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছে। এবং চিনের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে ওই এলাকাকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জের বাসিন্দা হরমিন্দর মায়ের সঙ্গে গুঞ্জিতে গিয়েছিলেন। কৈলাস মানস সরোবর যাওয়ার রাস্তায় পড়ে গুঞ্জি। সেখানে ১৫ দিন থাকার অনুমতি ছিল। কিন্তু সময়সীমা পেরোনোর পরেও হরমিন্দর ফেরেননি। তখনই তিনি নিজেকে পার্বতী বলে দাবি করে শিবের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
হরমিন্দরকে উদ্ধার করতে এক ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে তিন জনের দল গিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা হরমিন্দরকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। পিথোরাগড় পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে ফেরার কথা বলতেই রেগে ওঠেন। চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘‘আমি পার্বতী। ওই কৈলাসে শিবের বাড়ি। আমার সঙ্গে বিয়ে হবে।’’
আচরণ দেখে হরমিন্দরকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই মনে করছেন তাঁকে উদ্ধারে যাওয়া পুলিশকর্মীরা। ধরচুলায় নামিয়ে এনে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।