পাচারের নয়া কায়দা ফাঁস। — নিজস্ব চিত্র।
সিনেমার কায়দায় পাচার করা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ গাঁজা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই মাদক বোঝাই অ্যাম্বুল্যান্স আটক করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ওই পাচারচক্রে জড়িত সন্দেহে এক মহিলা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাচার করা হচ্ছিল গাঁজা। শুধু তাই নয়, অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে রাখা ছিল একটি শববাহী কফিন। তার মধ্যে সার দিয়ে সাজানো ছিল গাঁজার প্যাকেট। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ ফুলবাড়ি এলাকায় ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে আটক করে। ওই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬৪ কিলোগ্রাম গাঁজা। ওই কাণ্ডে চার জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ৷ তাঁদের মধ্যে তিন জন পুরুষ এবং এক জন মহিলা। ধৃতেরা হলেন সমীর দাস, অপূর্ব দে, পাপ্পু মোদক এবং সরস্বতী দাস। তাঁদের মধ্যে সমীর অ্যাম্বুল্যান্সের মালিক এবং চালক। ধৃতেরা সকলেই কোচবিহারের বাসিন্দা বলে এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের মতে, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নিত্যনতুন পাচারের পথ অবলম্বন করছে পাচারকারীরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। এসটিএফ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ওই গাঁজা নিয়ে বিহারের বেগুসরাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল গাড়িটি। এ নিয়ে এসটিএফের ডিএসপি সুদীপও ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জিজ্ঞাসাবাদে আরও বেশ কয়েক জনের নাম উঠে এসেছে। ধৃত সমীর দাস বাকি তিন জনকে এই কাজে নিযুক্ত করেছিল। মৃতদেহ নিতে যাওয়ার অনুকরণ করে তারা অ্যাম্বুল্যান্সে কফিন রেখে তাতে করে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করছিল। ধৃতদের মোবাইল থেকে বিহারের যোগসূত্র মিলেছে। নিউ জলপাইগুড়ি থানার হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে।’’