চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে মুস্তাফিজুর রহমান। —ফাইল চিত্র।
গত বার চেন্নাই সুপার কিংসে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু আইপিএলের মাঝপথেই দেশে ফিরে যান তিনি। এ বার আর তাঁকে ধরে রাখেনি চেন্নাই। আইপিএলের নিলামেও অবিক্রিত থেকেছেন তিনি। দল না পেয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে নাম লিখিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের দলের বাতিল ক্রিকেটার খেলতে চান পাকিস্তানের লিগে।
আইপিএলের সময়েই পাকিস্তান সুপার লিগ হবে। তাই আইপিএলে খেলা ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, আইপিএলে যে ক্রিকেটারেরা দল পাননি সেই বিদেশিদের নিতে চাইছে পাকিস্তানের দলগুলি। সেই তালিকাতেই রয়েছেন মুস্তাফিজুর। যদি এ বার তাঁকে কোনও দল কেনে তা হলে সাত বছর পরে আবার পাকিস্তানের লিগে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। ২০১৮ সালে শেষ বার এই লিগে খেলেছিলেন তিনি। লাহোর কলন্দর্লের হয়ে পাঁচটি ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর। ওভার প্রতি ৬.৪৩ রান করে দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে আইপিএলে প্রথম সুযোগ পান মুস্তাফিজুর। তাঁকে কেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সে বার ১৬টি ম্যাচে ১৭টি উইকেট নেন তিনি। হায়দরাবাদ সে বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়। অথচ পরের দুই বছরে মাত্র এক ও সাতটি ম্যাচ খেলেন মুস্তাফিজুর। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অবশ্য ধারাবাহিক ভাবে খেলেছেন বাংলাদেশের পেসার। এই চার বছরে আইপিএলে ৫৭টি ম্যাচে ৬২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টিতে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর। সব মিলিয়ে ২৬৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৩৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। পুরনো বলে কাটার তাঁর প্রধান অস্ত্র। শুধু মুস্তাফিজুর নন, এ বারের আইপিএলে দল না পাওয়া ডেভিড উইলি, জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, উসমান খোয়াজারাও নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তান সুপার লিগের ড্রাফ্টে। এখন দেখার তাঁদের মধ্যে কাদের কেনে সেখানকার দলগুলি।