শুরু হয়েছে তদন্ত ফাইল চিত্র।
এ বার মালদহে জাল নথি দেখিয়ে চাকরির আবেদন করার অভিযোগ উঠল ১৫ জনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ১৫ জনের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি মালদহ জেলা ডাক ডিভিশনে গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। শতাধিক শূন্যপদের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কয়েকশো আবেদনকারী এই পদের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র জমা দেন। সেই আবেদনপত্র ও তার সঙ্গে দেওয়া শংসাপত্র পরীক্ষা করতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে বিড়াল। দেখা যায়, ১৫ জন কর্মপ্রার্থীর আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া শংসাপত্র জাল।
এই প্রসঙ্গে মালদহ ডাক বিভাগের সুপার জগদীশ সিংহ বলেন, ‘‘ডাক বিভাগে কয়েকটি পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়ার পরে ১৫ জনের শংসাপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জানায় ওই শংসাপত্রগুলি জাল। তার পরেই আমরা বিষয়টি লিখিত আকারে মালদহের পুলিশ সুপারকে জানাই। ওই ১৫ জন আবেদন করার পরে আর যোগাযোগ করেননি। আমরা নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করব।’’
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখব। দোষ প্রমাণিত হলে তাদের গ্রেফতার করা হবে। এর পিছনে অন্য কোনও চক্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
কয়েক দিন আগেই রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের সই জাল করে চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগে সুপারিশের ঘটনা ও মালদহ ডিআই (প্রাইমারি)-এর সই করা জাল নিয়োগপত্রের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে।