—প্রতীকী চিত্র।
উত্তরবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত নমুনা পরীক্ষা দরকার। পরিস্থিতির উপরে নজরদারির জন্য তা জরুরি। অথচ, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে নামমাত্র নমুনা পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। শিশু কিশোরদের সর্দি-কাশি, জ্বর, কনজাংটিভাইটিসের মতো উপসর্গ থাকলেই এখন সতর্ক হওয়া দরকার। শিশু-কিশোরদের প্রয়োজন মতো পরীক্ষার নির্দেশ দেবেন চিকিৎসক। জেলাগুলি থেকে শিশুর লালা রসের নমুনা খুবই কম আসছে বলে অভিযোগ। এমনকি, অনেক জেলা থেকে আসছেই না বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের একটি সূত্রে খবর, এখানকার ‘ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার’ (ভিআরডিএল)-এ শিশু, কচিকাঁচাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য খুবই কম পাঠানো হচ্ছে। এক মাসে মাত্র ৩০টি নমুনা এসেছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে পরীক্ষার জন্য। তার মধ্যে ১০টি নমুনাতে অ্যাডিনোর সংক্রমণ মিলেছে। ওই সমস্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য পুণের ন্যাশনাল ‘ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’-তে পাঠানো হবে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ভিআরডিএলের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অরুণাভ সরকার বলেন, ‘‘এতে আমাদের কিছু করার নেই। নমুনা এলে, আমরা পরীক্ষা করতে দেব।’’
সম্প্রতি অ্যাডিনোর মারাত্মক প্রজাতি বি ৭/৩ নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক করেছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)। তার পরেই, বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া শুরু হয়েছে। তবে নমুনা পাঠানো না-বাড়ালে, পরিস্থিতি বোঝা মুশকিল হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলির স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, হাসপাতালগুলির চিকিৎসকদের বিষয়টি বলা হয়েছে। তাঁরা যেগুলি পরীক্ষার জন্য বলেন, সেগুলি পাঠানো হয়।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের একটি সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের ছ’টি জেলা থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা। ওই জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর রয়েছে। মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নমুনা পরীক্ষা হয় মালদহ মেডিক্যালের ‘ভিআরডিএল’-এ। তবে এই জেলাগুলি নিয়মিত নমুনা পাঠাচ্ছে না বলে অভিযোগ। নমুনা কম আসছে বলে, তা পরীক্ষার ‘কিট’ও সে ভাবে কেনা হয়নি। কারণ, তা হলে ‘কিট’গুলি পড়ে নষ্ট হবে। তবে বর্তমানে কিটের কোনও সমস্যা নেই বলে দাবি।