ফাইল চিত্র।
ফড়ে রুখতে নজরদারি থাকবে কিসানমান্ডিতে। ধান কাটার মরসুমের শুরু থেকে সরকারি দামে তা কেনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় খুশি চাষিরা। তিন জেলায় খোঁজ নিল আনন্দবাজার।
মালদহ
সরকারি শিবিরে দেরিতে কেনা শুরু হওয়ায় চাষিদের ঘর থেকেই কম দামে ধান নিয়ে যেত ফড়েরা। অভিযোগ, তারাই সেই ধান বিক্রি করত সরকারি শিবিরে। তাই এ বারে মরসুমের শুরু থেকেই ধান কিনতে উদ্যোগী হল মালদহের খাদ্য সরবরাহ দফতর। মঙ্গলবার থেকে জেলার ১২টি সরকারি শিবিরে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা। প্রশাসনিক হিসেবে, এ বার প্রায় পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হত পারে। দফতর সূত্রে খবর, ১২টি সরকারি কেন্দ্রে ২ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হবে। গরমিল রুখতে নজরদারি কমিটি গঠিত হয়েছে। দফতরের তরফে পার্থ সাহা বলেন, ‘‘প্রয়োজনে লক্ষ্যমাত্রা বাড়তে পারে।’’
দক্ষিণ দিনাজপুর
সোমবার থেকে গোটা রাজ্যের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরেও সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হচ্ছে। ধান বিক্রির জন্য কৃষকেরা অক্টোবর থেকেই নাম নথিভূক্ত করতে শুরু করেছিলেন। প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকেই যাতে প্রশাসন ধান কিনতে পারে, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলা খাদ্য দফতর জানায়, আপাতত জেলার আটটি মান্ডিতে ধান কেনা শুরু হচ্ছে। জেলার খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘প্রকৃত কৃষকেরাই যাতে ধান বিক্রি করতে পারেন, সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ধান কেনার টাকাও সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। এক জন কৃষক সর্বাধিক ৯০ কুইন্ট্যাল ধান বিক্রি করতে পারবেন।’’
উত্তর দিনাজপুর
সোমবার থেকে সরকারি সহায়ক দরে ধান কেনা শুরু হবে উত্তর দিনাজপুরেও। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, “আপাতত প্রশাসনের নজরদারিতে চালকল মালিকরা জেলার ন’টি ব্লকের কিসানমান্ডিতে চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবেন। পরে বিভিন্ন এলাকায় শিবির করেও ধান কেনা হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন এখনও জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেনি। তবে যত বেশি সম্ভব চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার চেষ্টা করা হবে। দুর্নীতি রুখতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চাষিদের সরাসরি ধানের দাম মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’