জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। —ফাইল চিত্র।
নব নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার নামে সমাজমাধ্যমে নকল ‘পেজ’ খোলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে জগদীশ নিজেই সে কথা সমাজমাধ্যমে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন। সেই সঙ্গে দু’টি ছবিও প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, কোনটা আসল আর কোনটা নকল। এর আগে পুলিশ-প্রশাসনের একাধিক কর্তার নামে এমন ভুয়ো ‘পেজ’ খুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই তালিকায় নাম রয়েছে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যেরও। এ বার সেই জেলার সাংসদের ভুয়ো ‘পেজ’ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে।
জগদীশ বলেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটা পুলিশকে জানিয়েছি। কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলেছি। কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই এমন করা হয়েছে বলে মনে করছি। এর পিছনে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশকে জানিয়েছি।’’ কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এর আগে আমার নামেও এমন পেজ খোলা হয়েছিল। আমরা প্রতিনিয়ত সাইবার-অপরাধ নিয়ে সবাইকে সচেতন করার বার্তা দিচ্ছি।’’ লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসন থেকে জয়ী হয়েছেন জগদীশ। নয়াদিল্লিতে গিয়ে শপথ নেওয়ার পরে গত শনিবার কোচবিহারে ফেরেন তিনি। রবিবার বিষয়টি তাঁর নজরে আসে। সমাজমাধ্যমে জগদীশের ‘পেজ়’-এ দলের নেতা সুব্রত বক্সীর সঙ্গে তাঁর একটি ছবি রয়েছে। সেই সঙ্গে জনগর্জন সভারও একটি ছবি রয়েছে। নকল অ্যাকউন্টও অনেকটা সে ভাবেই তৈরি করা হয়েছে।
জগদীশ-অনুগামীদের ধারণা, তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য ওই ‘পেজ়’ তৈরি করা হতে পারে। অন্য একটি অংশ অবশ্য মনে করছে, জগদীশের নাম করে টাকা হাতানোর মতলবেও ওই কাজ করা হতে পারে। এর আগে, কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে বেশ কিছু টাকা সাইবার-অপরাধীরা হাতিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
বিজেপি অবশ্য ওই বিষয় নিয়ে তেমন কিছু বলতে রাজি নয়। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘এটা একদমই ব্যক্তিগত বিষয়। তৃণমূল সরকারের পুলিশ রয়েছে। তারা তদন্ত করে বার করুক, কেন এমন হচ্ছে।’’