নিজস্ব চিত্র।
লকডাউনের হালহকিকত জানতে রাস্তায় বেরিয়ে ভেজাল সরষের তেলের কারখানার হদিশ পেলেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল। রবিবার মালদহের সামসির কাণ্ডারণে লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলেন তিনি। তখনই চোখে পড়ে একটি কারখানায় কাজ চলছে। সেখানে বেশ কয়েক জন শ্রমিক কাজ করছেন। লকডাউনের মধ্যে কারখানায় কাজ হতে দেখে সেখানে সটান ঢুকে পড়েন মহকুমাশাসক। সঙ্গে ছিলেন এক স্বাস্থ্যকর্তাও। কিন্তু যা দেখলেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ হল তাঁদের।
তাঁরা দেখেন, ওই কারখানায় সাধারণ পাম তেলের সঙ্গে নানাবিধ রাসায়নিক, রং, এবং গন্ধ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভোজ্য তেল৷ অবিকল সরষের তেলের রং আর গন্ধ। খোঁজখবর নিয়ে মহকুমাশাসক জানতে পারেন, সামসির এক ব্যবসায়ী সঞ্জয় সাহা এই কারখানার মালিক৷ তার পরই খোঁজ শুরু হয় মালিকের৷ কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়ে তত ক্ষণে গা ঢাকা দিয়েছেন সেই অসাধু ব্যবসায়ী। এর পরেই মহকুমাশাসক চাঁচল থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই কারখানার পাঁচ কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। বাজেয়াপ্ত করা হয় কারখানার যাবতীয় সামগ্রী এবং উৎপাদিত ভোজ্য তেল। তবে এ বারই প্রথম নয়, বছর দুয়েক আগেও এই কারখানায় ভেজাল সরষের তেল তৈরির সময় তা হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। তার পরেও কী ভাবে একই কারখানায় সেই কাজ চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল শুধু জানান, তিনি লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছিলেন। তখনই সামসির কাণ্ডারণে এই ভেজাল সরষের তেল তৈরির কারখানার সন্ধান পান। গোটা বিষয়টি চাঁচল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে যথাযথ তদন্ত করতে বলা হয়েছে।