নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার উপরে উঠে পৌঁছতে হয় সোম চা-বাগানে। ওই এলাকায় প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার চা-শ্রমিকের বাস। গত বর্ষায় ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চা-বাগানের মূল রাস্তা। সাত কিলোমিটার রাস্তার বেশির ভাগটা জুড়ে তৈরি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। ধসের ফলে রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ খাদে পরিণত হয়েছে। বছর দেড়েক পেরিয়ে গেলেও রাস্তার অবস্থা আজও পাল্টায়নি।
আগে দার্জিলিং শহর থেকে সোম চা-বাগানে পৌঁছতে সময় লাগত ৪০-৪৫ মিনিট। কিন্তু রাস্তার কঙ্কালসার দশায় এখন শহরে পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা। আগে গাড়ি করে যেতে যেখানে ভাড়া পড়ত ৫০-৬০ টাকা। এখন সেখানে পড়ে প্রায় ১৫০টাকা। ফলে চা-শ্রমিকদের সীমিত আয়ের বেশির ভাগটাই লেগে যায় যাতায়াতের ভাড়ায়। বছরের অন্যান্য দিন কোনও মতে সাত কিলোমিটার রাস্তায় যাতায়াত করলেও সমস্যা তৈরি হয় বর্ষায়। দুর্ভোগ এড়াতে ঘুর পথে মূল রাস্তার সঙ্গে সংযোগকারী ছোট ছোট রাস্তা (পকেট রুট) ধরে শহরে পৌঁছতে হয়।
চা-বাগানের কর্মী নিমা রাইয়ের কথায়, ‘‘বাগান কর্তৃপক্ষ এবং সরকারি দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বছরের অন্যান্য সময় হেঁটে বা বাইকে চলাফেরা করেন অনেকে। বর্ষার সময় কার্যত মরণ ফাঁদ হয়ে উঠেছে এই রাস্তা। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা হতে পারে।’’
ওই চা বাগানেরই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, ‘‘শুধু রাজনৈতিক দলদালিতে ব্যস্ত দলগুলোর এ নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? বার বার জানিয়েও কোনও ফল হয় না। রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।’’
তবে রাস্তার সরাই না হওয়ার জবাব তাঁরা জিটিএ নির্বাচনেই দেবেন বলে জানালেন তিম্বু শেরপা নামে এক চা বাগানের কর্মী। তাঁর কথায়, ‘‘বলে কোনও লাভ হয় না। তাই এ বারের নির্বাচনে আমরা সঠিক লোককেই ভোট দেব।’’ আগামী ২৬ জুন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন। এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সোম চা বাগানের কর্মীরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।