জলের তলায় শিলিগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। নিজস্ব চিত্র।
কয়েক ঘণ্টার লাগাতার বৃষ্টিতে জলের তলায় শিলিগুড়ি শহরের বহু এলাকা। সেচ দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছে শহরে। অতীতেও এমন বৃষ্টির নজির নেই বলে দাবি পুরকর্তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাত জাগছেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া, ডেপুটি চেয়ারম্যান রঞ্জন সরকার-সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকেরা।
বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা। পুরসভা সূত্রে খবর, কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টির জেরে শহরের হাকিমপাড়া, কলেজপাড়া, মিলনপল্লি, শক্তিগড়, শান্তিনগর, অশোকনগর, ভানুনগর-সহ বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। এতে বিপত্তি বেড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
পুরসভার হেল্পলাইন নম্বরে ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তের আটকে থাকা মানুষজনের ফোন আসতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকেরা৷
সেচ দফতর জানিয়েছে, পার্বত্য এলাকার নীচে হওয়ায় শহরে বৃষ্টির জল জমলেও তা মুহূর্তের মধ্যে নেমে যায়। তবে এ বার সিংহভাগ এলাকাই জলের নীচে চলে গিয়েছে। বিশেষ করে মহানন্দা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি জলের তলায়। সেখানে কোথাও কোমর পর্যন্ত, কোথাও বা আবার জল ঢুকেছে ঘরে। বেশ কিছু জায়গায় মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। তবে আমরাও প্রস্তুত। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আমরা সারা রাত কন্ট্রোল রুমে রয়েছি। বিদ্যুৎ থেকে জল, সব বিভাগের কর্মীরাও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকার স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। যে কোন রকমের সাহায্যের জন্য আমরা প্রস্তুত। ওষুধ থেকে খাদ্য, সবই মজুত রাখা হয়েছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।