পায়ে-পায়ে: ব্রিগেডের পথে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।
কোথাও রাস্তায় বেঞ্চ পেতে বসে পড়লেন নেতা-কর্মীরা। কোথাও পার্টি অফিসগুলিতে জমল ভিড়। টেলিভিশনের পর্দায় নেতাদের তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে দেখে ভিড় থেকে বারবার উঠল স্লোগান। কলকাতার বুকে ব্রিগেড হলেও, সেখান থেকে প্রায় সাতশো কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ারে সেই সমাবেশ ঘিরে এমন উচ্ছ্বাস দেখে হাসি ফুটল জেলার জোট নেতাদের মুখে।
রবিাবার, দলের পার্টি অফিস, বাজার-হাট ও পাড়ার মোড় মিলিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্রিগেডের সমাবেশ সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে সিপিএম। সেখানে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস দেখে আশার আলো দেকছেন বাম নেতারা।
আলিপুরদুয়ার জেলার সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কিশোর দাস বলেন, ‘‘ট্রেনের সমস্যার জন্য অনেকেই এ বার কলকাতায় যেতে পারেননি। তাই আমরা চেয়েছিলাম ব্রিগেডকেই আলিপুরদুয়ারে নিয়ে আসতে। ব্রিগেডের সমাবেশ ঘিরে গোটা জেলায় এ দিন যে উচ্ছ্বাস দেখলাম, তাতে আমাদের সেই চেষ্টা যে সফল তা বলাই যায়।’’ এ দিন ব্রিগেড সমাবেশের জন্যই শেষ মুহূর্তে দুপুরে জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকও বাতিল করা হয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘নিজেদের ভোট ফের নিজেদের দিকে টানতে এখন বামেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপিও বাম ভোট ধরে রাখছে চায়। এতে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
ব্রিগেডের টানে কোচবিহার থেকে গিয়েছেন করোনা-জয়ীরাও। তাঁদেরই একজন সুব্রত দে বলেন, “প্রায় দু’দশক ধরে তো ব্রিগেডে যাচ্ছি। এ বারও মনের জোরে চলে এলাম।” কোচবিহারের বাসিন্দা বাম সমর্থক সাহেব পান্ডে বলেন, “ব্রিগেড মানে আবেগ, তাই এসেছি।”
দিনের শেষে বিগ্রেড সভার ভিড়ে খুশি কোচবিহারের বাম-কংগ্রেস নেতারাও। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “একেই বলে লাল ঝান্ডার প্রতি ভালবাসা।”
কোচবিহার জেলা কংগ্রেস সভাপতি কেশব রায় বলেন, “জীবনে এত বড় ব্রিগেড সভা দেখিনি।”