— প্রতীকী চিত্র।
হাতি নিয়ে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল বন দফতরের। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা একটানা পরিশ্রমের পর অবশেষে তাকে ফেরানো গেল জঙ্গলে। জঙ্গলের হাতি জঙ্গলে ফিরেছে ঠিকই, কিন্তু যাওয়ার আগে মানব সমাজকে বুঝিয়ে গিয়েছে, কী করতে সক্ষম সে!
হাতি বেরিয়েছে শহরে। সেই খবর পাঁচ কান হতেই পালে পালে লোক জড়ো হন হাতি দেখতে। কিন্তু অত লোক দেখে হাতি যদি ঘাবড়ে যায় তাহলে কী অবস্থা হবে ভাবতেই কেঁপে ওঠেন বন কর্তারা। তাই প্রশাসনের অন্যান্য শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করে শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় জারি করতে হয় ১৪৪ ধারা। তার মধ্যেই বনকর্মীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চেষ্টা জারি রেখেছিলেন। সাহুডাঙির আরপিএফ আবাসনের ঝোপ থেকে কী ভাবে হাতিকে জঙ্গলে ফেরানো যায়, তার পরিকল্পনা তৈরি হয়। সারা দিন সেখানেই ছিল হাতিটি। সূর্য ডুবতেই তাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন ড্রাইপোর্টের দেওয়াল ভেঙে সাহুডাঙির রেল গেট পার করিয়ে পাঘালুপাড়া দিয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়। হাতির কারণে বেশ কিছু ক্ষণ শিয়ালদহগামী দার্জিলিং মেলকে সাহুডাঙ্গি রেলগেটে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়।
সিসিএফ ওয়াইল্ড লাইফ শ্যাম মোলে বলেন, ‘‘ড্রাইভ করিয়ে সুষ্ঠভাবে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হল। বন দফতরের বিভিন্ন ডিভিশনের সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। এক, দু’টি বাড়ি খানিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনও মানুষের শারীরিক ক্ষতি হয়নি।’’