কোচবিহার রাজবাড়ির প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র।
প্রচলিত দুর্গা মূর্তি নয়। কোচবিহার রাজবাড়ির দুর্গাপ্রতিমা ভিন্ন। এখানে দুর্গার পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক এবং গণেশ নেই। আছে দুর্গার অন্যতম দুই সহচরী জয়া এবং বিজয়া। দুর্গার বাহন এখানে সিংহ নয়, বাঘ।
৫০০ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয় কোচবিহারের বড় দেবীর পুজো। কোচবিহারের রাজা নরনারায়ণের আমলে এই পুজোর সূচনা হয়। অন্য পুজোর ফারাক রয়েছে এই বড় দেবীর। কথিত আছে, মহারাজা নরনারায়ণ স্বপ্নে এই দেবীকে দেখতে পান। শুধু প্রতিমাই নয়, পুজোর নিয়মও আলাদা। রাজ আমল থেকেই এই পুজোয় বলি হয়ে আসছে। এক সময় নরবলির প্রথা চালু ছিল। এখনও অষ্টমী তিথিতে গভীর রাতে গুপ্ত পূজার মাধ্যমে দেবীকে উৎসর্গ করা হয় নররক্ত। এখনও অষ্টমীর পুজোয় পায়রা, পাঁঠা এবং মহিষ বলি হয়।
বুধবার অষ্টমীর সকাল থেকেই বড় দেবীর মন্দিরে পুজোয় যোগ দেন বহু মানুষ। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কালিয়ানও পুজো দেন। পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন কোচবিহারেরই বাসিন্দা শর্মিলা দে দত্ত। তাঁর কথায়, ‘‘এখানকার রাজার আমলের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে আমরা প্রতি বছর পুজো দিতে আসি। আমরা আপ্লুত হয়ে যাই।’’ রাজবাড়ির এই পুজোর প্রতি শ্রদ্ধা অমলিন কোচবিহারবাসীর।