তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দিনহাটা থানা চত্বরে। —নিজস্ব চিত্র।
দিনহাটার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। সোমবার তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দিনহাটা থানা চত্বরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামাতে হয় পুলিশ বাহিনী। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের মধ্যে কী ভাবে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা জমায়েত হয়ে এই কর্মসূচি পালন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পর ৬ মে দিনহাটায় উদয়নের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি-র দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উদয়নের গাড়ি ভাঙচুর-সহ তাঁর তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করা হয়। হামলায় উদয়নের ডান হাত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। হামলায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদানকারী অজয় রায়ের নাম উঠে আসে। ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ অজয়।
সোমবার দিনহাটা শহর ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি জয়দীপ ঘোষের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়। দিনহাটা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে স্মারকলিপিও জমা দেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জয়দীপের দাবি, “উদয়ন গুহের উপর হামলায় মূল অভিযুক্ত অজয় রায় ফোনে বহু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারছে না।”
অভিযুক্তকে ধরতে নিজেদের ব্যর্থতাকে কার্যত মেনে নিয়েছেন দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে পাঁচ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের তালিকায় প্রথম যে চারটি নাম ছিল, তাদের এখনও গ্রেফতার করতে না পারাটা আমার কাছে ব্যর্থতার সমান। সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।” পুলিশি আশ্বাসের পর উদয়নের হুঁশিয়ারি, “সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবেন তৃণমূল কর্মীরা।”