অজয় রায়। —নিজস্ব চিত্র।
অসম সীমান্ত থেকে দিনহাটা বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতি অজয় রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুরনো মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বাধা দিতে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে অজয়কে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ অজয়কে তুফানগঞ্জের বক্সিরহাটে অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অজয়ের বিরুদ্ধে দু’টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেই মামলা দু’টিতে অজয়ই প্রধান অভিযুক্ত। তবে মামলা দু’টি কবেকার সেই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য দেয়নি পুলিশ। তবে অজয়ের বিরুদ্ধে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের উদয়ন গুহের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। সেই হামলায় উদয়নের হাত ভেঙে যায়। এ ছাড়াও গত ১০ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগের দিন রাতে অজয় গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করে বিডিওর বিরুদ্ধে সময়ের আগে স্ট্রং রুম খুলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা এবং পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগও রয়েছে অজয়ের বিরুদ্ধে। তবে তাঁর গ্রেফতারির ঘটনার সঙ্গে কোন মামলা জড়িত, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানি রাজ বলেন, “অজয় রায়কে পুরনো দু’টি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দু’টি মামলায় তিনিই প্রধান অভিযুক্ত।”
এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “কী কারণে পুলিশ অজয়কে গ্রেফতার করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে আমাদের অনুমান, ভোট গণনার আগের দিন স্ট্রং রুমে প্রবেশ করা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পাশাপাশি, কিছু পুরনো মামলাও থেকে থাকতে পারে।” সুকুমার আরও বলেন, “শুক্রবার অসমে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের শিবিরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে বক্সিরহাট এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কিছু দিন পরেই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে সেই কারণে পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের নেতৃত্বদের গ্রেফতার করছে। যাতে বোর্ড গঠনে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।” তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় এ বিষয়ে বলেন, “অজয় রায়কে কোন বিষয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তা পুলিশ প্রশাসন বলতে পারবে। তবে যত দূর জানতে পেরেছি পুরনো মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।”