Dilip Ghosh

বঞ্চিত তাই বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি, উত্তরবঙ্গের দলীয় বৈঠক সেরে বললেন দিলীপ ঘোষ

‘‘কখনও গুরুং, কখনও কামতাপুরীদের সঙ্গে জোট বেঁধে জেতার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। আর সেই দলই আজ আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলছে?’’, আক্রমণ দিলীপের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ১৯:৫৯
Share:

নিজস্ব চিত্র

বিজেপি-র সাংসদ জন বার্লার বাংলা ভাগের দাবি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে দলীয় বৈঠক সারলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অবস্থানে অনড় থেকে তিনি জানিয়ে দিলেন পৃথক রাজ্যের কোনও দাবি বিজেপি-র নেই। বরং সামগ্রিক পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থেই লড়বে গেরুয়া শিবির। তিনি দলীয় বৈঠক শেষে মন্তব্য করেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত হয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গের মানুষ হয়ত বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি নেই। কখনও গুরুং, কখনও কামতাপুরীদের সঙ্গে জোট বেঁধে জেতার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। আর সেই দলই আজ আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী বলছে?’’ রবিবার কোচবিহার জেলা বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য ভাগের প্রসঙ্গের সঙ্গে অনুন্নয়নকে জুড়ে দিতে চাইলেন দিলীপ।

Advertisement

একাধিক নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটে গোটা রাজ্যে তৃণমূল ভাল ফল করলেও উত্তরবঙ্গে বিজেপি অনেকগুলি আসন পেয়েছে। সেই নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘সিপিএম ও তৃণমূল সাধারণ মানুষের ইচ্ছা পূরণ করতে পারেনি। তাই বিজেপি-কে জিতিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এখানকার মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা সব বিষয়ে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা কেন্দ্রে সরকারে আসার পর থেকে সমস্ত রাস্তা ‘ফোর-লেন’ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গে এমস করার কথা বলেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার রায়গঞ্জ থেকে এমস কল্যাণীতে নিয়ে গিয়েছে।’’

বিজেপি যে পৃথক রাজ্যের দাবিকে মান্যতা দিতে রাজি নয়, তা ফের একবার রবিবারও উঠে এসেছে দিলীপের কথায়। তিনি বললেন, ‘‘বিজেপি গোটা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে। আগামী দিনেও তা করবে।’’

Advertisement

দিলীপের যাবতীয় মন্তব্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় বলেন, ‘‘বিজেপি নিজেই বিগত দিনে বিমল গুরুংকে সঙ্গে নিয়ে সাংসদকে জিতিয়েছেন। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি-র ভাল ফলাফল হয়েছে গ্রেটার কোচবিহারের নেতা অনন্ত রায়ের জন্য। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে তাঁরা কোনওদিন ভাবেননি। এখন বিজেপি-র নেতারা যখনই উত্তরবঙ্গে আসেন, তখনই উত্তরবঙ্গের ভাগাভাগি বিষয় নিয়ে সুড়সুড়ি দিয়ে যান। আবার কলকাতায় গিয়ে মত পরিবর্তন করেন। এই ধরনের দ্বিচারিতা মানুষ বুঝতে পেরেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement