দেবাঞ্জন দেব। (ডান দিকে) তাঁরই সংস্থার কর্মী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তদন্ত যত এগোচ্ছে দেবাঞ্জন দেবের প্রতারণার তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে এ বার প্রতারণার অভিযোগ তুললেন তাঁর ভুয়ো সংস্থারই কর্মী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুস্মিতার দাবি, তাঁরা কেউ জানতেন না দেবাঞ্জন ভুয়ো আইএএস অফিসার। পরে জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, “আমরা কেউ দেবাঞ্জনের প্রতারণা বুঝতে পারিনি। আমি প্রতারিত হয়েছি।”
ঘটনাচক্রে সুস্মিতাকেই দেবাঞ্জন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুস্মিতা।
দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর গৃহশিক্ষকও। অভিযোগ, স্নাতকস্তরে পড়ার সময়ই প্রতারণায় হাত পাকাতে শুরু করেন দেবাঞ্জন। তাঁর শিকারের তালিকা থেকে বাদ যাননি গৃহশিক্ষকও। বিএসসি পড়ার সময় সেই শিক্ষককে প্রতারণা জালে ফাঁসিয়ে ৫ হাজার টাকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওই শিক্ষক গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে কর্মরত। বাড়ি সোনারপুরে। শিক্ষকতার পাশাপাশি অভিনয়েরও শখ রয়েছে তাঁর। জুলজির প্র্যাক্টিক্যালের জন্য ওই শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যেতেন দেবাঞ্জন। শিক্ষকের অভিযোগ, যে হেতু তাঁর অভিনয়ের শখ ছিল, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে সিনেমায় অভিনয়ের টোপ দেন দেবাঞ্জন। অভিযোগ, তার জন্য টাকাও নেন শিক্ষকের কাছ থেকে।