পঞ্চায়েত প্রধান ঋতা চৌধুরীর স্বামী অর্জুন চৌধুরী, উপপ্রধান আমিন মিঞা এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র।
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে মালদহের ইংরেজবাজারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল নেতৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিরা। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ তৃণমূল নেতাদের সামনে পেয়ে অভিযোগের পর অভিযোগ উগরে দিলেন এলাকাবাসী। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যে পৌঁছয় যে, ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে।
সোমবার মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাটটারি এলাকায় উপস্থিত হন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ শুনছিলেন। ঠিক তখনই পঞ্চায়েত প্রধান ঋতা চৌধুরীর স্বামী অর্জুন চৌধুরী, উপপ্রধান আমিন মিঞা এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। উত্তেজনার সৃষ্টি হলে তা প্রশমনের চেষ্টা করেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। কিন্তু আবাস দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাঘাট থেকে আবাস যোজনা, সর্বত্র শুধু দুর্নীতি হয়েছে। তাই জনপ্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই বিক্ষোভ এবং মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তিনি জানান স্থানীয় কিছু সমস্যা রয়েছে। আশা রাখছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলির সমাধান হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন সমাধান হচ্ছে না, তা নিয়ে বিকালেই (সোমবার) আলোচনায় বসব। আবাস নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাও দেখব। বঞ্চিতদের অভিযোগ শোনা হবে। যোগ্যরা অবশ্যই সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পাবেন।’’