ডিআইকে অভিযোগ জানাচ্ছেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র
বিতরণের আগে, এসআই অফিস থেকে দু’লক্ষ সরকারি পাঠ্যবই কোথায় গেল সে রহস্য কাটল না। শনিবার ইসলামপুরে একটি বৈঠকে এসে ঘটনাটি সরজমিনে খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই)। বই উধাও হওয়ার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ বলে দাবি করেন ডিআই দুলাল সরকার। তিনি বলেন, ‘‘বিভাগীয় তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। আমি নিজেই এসেছি পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে। স্কুলের জন্য নতুন করে বই আনা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে ছেলেমেয়েরা বই পেয়ে যাবে।’’
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গুদামের দায়িত্বে থাকা কর্মী ভীম মণ্ডলকে শুক্রবারই গ্রেফতার করেছিল ইসলামপুর থানার পুলিশ। শনিবার তাঁকে ইসলামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক কৃষ্ণেন্দু সরকার সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী জনার্দন সিংহ। ভীমের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই গুদামের চাবি এসআই ও আরও দুই কর্মীর কাছেই থাকত। এসআই শুভঙ্কর নন্দী সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। ভীমের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ (ববি) বলেন, ‘‘এসআই সন্দেহের ভিত্তিতে ভীমের নামে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমরা বিচারকের নজরে এনেছি।’’ সকাল থেকে তাঁর বাড়ি তালা বন্ধ বলে জানিয়েছেন পড়শিরা। ভীমের মা ও স্ত্রী ইসলামপুর আদালতেই ছিলেন এ দিন। তাঁর স্ত্রী শ্যামলী মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। যে পরিমাণ বইয়ের হিসেব রয়েছে, তা গুদামে রয়েছে। বাকি দু’লক্ষ বইয়ের কোনও হিসেব নেই বলে শুনেছি।’’
তদন্তের দাবি জানিয়ে এ দিন ডিআইকে স্মারকলিপি দেয় নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। এ দিন থানাতেও একটি লিখিত জমা করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের ইসলামপুর জ়োনের সম্পাদক রানা ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা চাই, মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ুক। এই ঘটনা কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়।’’
তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের ইসলামপুর চক্রের সভাপতি বিজন দত্ত বলেন, ‘‘এসআই অফিসে গতকাল ১২ হাজার বইয়ের রসিদ দেখেছিলাম। বাকি দু’লক্ষ বইয়ের হিসেব চালানে ছিল। তবে এত বই কোথায় উধাও হল, তা তদন্তসাপেক্ষ। আমরা চাই, মূল অভিযুক্ত সামনে আসুক।’’