ধৃত দেবেন্দ্র আহুজা। — নিজস্ব চিত্র।
তাঁর ইশারায় চলত এ রাজ্যের মাদকচক্র। মাদক-মাফিয়া চক্রের পান্ডা সেই দেবেন্দ্র আহুজা ওরফে চিন্টুকে উত্তরপ্রদেশের আগরা থেকে ধরল এ রাজ্যের পুলিশ। মালদহের কালিয়াচক থানার একটি দল শনিবার দেবেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ মহলের একটি অংশের আশা, দেবেন্দ্রর গ্রেফতার বড়সড় ধাক্কা দেবে এ রাজ্যের মাদক ব্যবসায়। রবিবার দেবেন্দ্রকে আনা হবে মালদহে।
উত্তরপ্রদেশের আগরার প্রতাপনগরের বাসিন্দা দেবেন্দ্র। তার বাবার নাম সত্যপ্রকাশ আহুজা। দীর্ঘ দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অংশে মাদক ব্যবসা চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মালদহের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদক এবং কালো টাকা উদ্ধার করেছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সেই সব সূত্র ধরেই খোঁজ পাওয়া যায় দেবেন্দ্রর। পুলিশ জানতে পারে দেবেন্দ্রই এই চক্রের মূলপাণ্ডা। উত্তরপ্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দেবেন্দ্র মাদক, ফেনসিডিল পাঠাত বাংলাদেশে। এর পরই একটি বিশেষ দল গঠন করে কালিয়াচক থানা। সেই দলই শনিবার গ্রেফতার করেছে দেবেন্দ্রকে। তাকে জেরা করে মাদক ব্যবসার বহু রহস্যের জট খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, আজিজুর রহমান নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল কালিয়াচক থানা। তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তাকে জেরা করেই দেবেন্দ্র হদিস পাওয়া যায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গত সেপ্টেম্বরে গাজোলের ঘাকশোল এলাকার বাসিন্দা, পেশায় মৎস্যজীবী জয়প্রকাশ সাহার বাড়ি থেকে সিআইডি উদ্ধার করে প্রায় দেড় কোটি টাকা। ওই বিপুল টাকা মাদক, মূলত ফেনসিডিল বিক্রি করে পাওয়া গিয়েছে বলে জানতে পারেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। এর পর, দিন কয়েক আগে কালিয়াচক থানার গঙ্গানারায়ণপুর এলাকায় এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে হানা দিয়ে ৩৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এসটিএফ। ওই পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে মাদক মামলায় জেলবন্দি। টাকা উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু, এই প্রথম মালদহে মাদক চক্রের পিছনে ভিন্রাজ্যের কোনও যোগসূত্র পাওয়া গেল।