ফাইল চিত্র
নিজের শাবককে বাঁচাতে মাঝরাস্তায় একটি লরির উপর আক্রমণ চালাল মা হাতি। মঙ্গলবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটেছে জলদাপাড়া সংলগ্ন মাদারিহাটে, এশিয়ান হাইওয়ের উপর। অবশ্য এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। হাতি-শাবকটিও অক্ষত।
এশিয়ান হাইওয়ের একপাশে জঙ্গল। রাস্তায় তখন দু-দিকেই গাড়ি ছুটছে। বন দফতর সূত্রের খবর, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এক জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একদল হাতি রাস্তা বরাবর এগোচ্ছিল। সেই দলে ওই মা হাতি ও তার শাবকও ছিল। সেই সময় একটি লরি হাসিমারার দিক থেকে শিলিগুড়ি অভিমুখে যাচ্ছিল। হাতির দলটি রাস্তা পার করার সময় কোনও ভাবে লরিটি সামনে চলে আসে। তাতেই ক্ষেপে যায় মা হাতিটি। কারণ তার সঙ্গেই ছিল তার শাবক। শুঁড় তুলে প্রচণ্ড চিৎকার করে লরির দিকে এগিয়ে যায় হাতিটি।
তার পরেই লরিটিকে মাথা দিয়ে গুঁতো ও শুঁড় দিয়ে আঘাত করতে থাকে।
লরির উপর মা হাতির এমন হামলা দেখে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা হকচকিয়ে যান। তাঁরা জানান, বড় বিপদের মধ্যে পড়েছেন বুঝতে পেরে বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে লরিচালক হর্ন বাজিয়ে যেতে থাকেন। তাতেই খানিকটা পিছু হটে মা হাতিটি। ইতিমধ্যে লরি নিয়ে অনেকটা দূরে চলে যান ওই চালক। এর কিছুক্ষণ পর নিজের শাবকের সঙ্গে পাশের অন্য এক জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যায় সে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন আশপাশের মানুষ।
জলদাপাড়ার ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “ঘটনার পর জঙ্গলে আমরা প্রচুর তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু কোনও জখম হাতি পাইনি। এ দিনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট হাতিটির কোন ও ক্ষতি হয়নি বলেই মনে হয়।”
বনকর্তাদের একাংশ জানিয়েছে, নিজের করিডরে হাতির দল যাতে কোনও গাড়ি দেখে বিরক্ত না হয়, সেজন্য এশিয়ান হাইওয়েতে স্পিডব্রেকার বসাতে কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হয়। যার জেরে কিছু জায়গায় স্পিডব্রেকার তৈরিও হয়। আর তাতে করেই এ দিন বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মত তাঁদের।
এ দিকে, সোমবার বক্সার জঙ্গলের ছাব্বিশ মাইল এলাকায় হাতির হানায় এক অস্থায়ী বনকর্মীর মৃত্যু হয়।