—ফাইল চিত্র
ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে এসে পাঁচ জেলার পুলিশ, প্রশাসনের বুথ স্তরের সমীক্ষার উপর ভাল করে নজর দিতে নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। শুক্রবার শিলিগুড়িতে স্টেট গেস্ট হাউজে তিনি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের জেলা পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন আধিকারিক (জেলাশাসক) ছাড়াও শিলিগুড়ি সিপির সঙ্গে বৈঠক করেন। ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, তা-ও দেখতে বলেছেন সকলকে। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবও।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসেছেন জৈন। কলকাতায় ১৪টি জেলার আধিকারিক ছাড়াও রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক করেন। উত্তরবঙ্গে শুক্রবার মালদহের বৈঠক সেরে বিকেলের পর শিলিগুড়িতে আসেন তিনি। বৈঠকের পর তিনি জানান, ভোটের প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতেই তাঁর রাজ্যে আসা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে যাতে বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হয়, সেই লক্ষ্যে পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছি। বেশ কিছু ভাল পরামর্শ উঠে এসেছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, বুথ স্তরের সমীক্ষার উপরেই এ বার অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে জৈন। কলকাতার বৈঠকে জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের সেকথা আগেই বলে দিয়েছেন। শিলিগুড়ির বৈঠকেও বুথের গুরুত্ব বোঝার উপরেই জোর দিয়েছেন তিনি। সূত্রের দাবি, প্রতিটি বুথের আইনশৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতি কী রয়েছে, রাজনৈতিক সংঘর্ষের ইতিহাস কী রয়েছে, সেগুলি ভাল করে খতিয়ে দেখে লিপিবদ্ধ করা এবং তার উপর বুথস্তরের সমীক্ষার রিপোর্ট তৈরি করার কথা জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের। তা নতুন নয়। কিন্তু সূত্রের দাবি, সেই প্রক্রিয়ায় যেন ফাঁক না থাকে, তাতে জোর দিতে বলেন তিনি। তার সঙ্গেই তালিকা সংশোধন, মৃত ভোটার বাদ দেওয়া নতুন ভোটারের নাম তোলার মত কাজ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
ভোটের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানান, বুথের সমীক্ষার উপরই এক একটি বুথের সংবেদনশীলতার সমীকরণ বোঝা যায়। সার্বিকভাবে এমন বুথের সংখ্যা হিসেব করেই রাজ্যে বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বুথের সেই গুরুত্ব না বুঝতে পারলে বাহিনীর হিসেবেও গোলমাল হয়ে যেতে পারে। তাই আপাতদৃষ্টিতে যে বুথগুলি শান্তিপূর্ণ, সেগুলি নির্বাচন পর্যন্ত কী অবস্থায় থাকছে, তার উপর কড়া নজর রেখে চলার পরামর্শ তিনি দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।