চাঞ্চল্য এলাকায় নিজস্ব চিত্র।
নিখোঁজ ব্যক্তির পচা-গলা দেহ উদ্ধার হল তাঁরই বাড়ির পিছনে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের ময়মনসিংহ পাড়া এলাকায়।
গত মাসের ২৪ তারিখ থেকে সুবল সিদ্ধা নামের ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার দুপুরে তাঁর বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে একটি বাঁশ বাগান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহ এখনও শনাক্ত না করা গেলেও পরনের কাপড় দেখে অনুমান করা হচ্ছে দেহটি সুবলের। মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। বাঁশ বাগানে দেহ কী ভাবে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৫ জুন ধূপগুড়ি থানাতে নিখোঁজ ডায়েরি করেন সুবলের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি লিফলেট ছাপিয়েও প্রচার চালান তাঁরা। খুঁজে দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করা হয়। তবে খোঁজ মেলেনি তাঁর। সুবলের ছেলে স্বপন সিদ্ধা বলেন, ‘‘২৪ তারিখ আমার বাবা নিখোঁজ হয়ে যায়। আমরা বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। যে জায়গায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানেও খুঁজেছিলাম। কিন্তু সেই সময় সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা প্রথমে মৃতদেহটি দেখতে পান। কী ভাবে বাঁশ বাগানে দেহ এল তা আমরা বুঝতে পারছি না।’’
স্থানীয় কাউন্সিলর জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘সুবল বেশ কয়েক দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গত মাসের ২৫ তারিখে ধূপগুড়ি থানায় একটি ডায়েরিও করা হয়। বাড়ির পিছনে বাঁশ বাগান থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সেটি নিখোঁজ ব্যক্তির কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে দেহটি তাঁর। ময়নাতদন্তের পর পরিচয় এবং মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’’