তারকেশ্বর মন্দির নিজস্ব চিত্র।
শোনা যাবে না ‘ভোলে বাবা পার করে গা’ ধ্বনি। বাঁকে জল নিয়ে হাজার হাজার পূণ্যার্থীর হেঁটে যাওয়াও চোখে পড়বে না। করোনার কোপে বন্ধ তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা। তারকেশ্বর মন্দিরের মঠাধ্যক্ষ স্বামী সুরেশ্বর আশ্রম মহন্ত মহারাজ এমনটাই জানিয়েছেন।
আগেই হুগলি জেলা প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শ্রাবণী মেলা হবে না। এ বার মন্দির কর্তৃপক্ষও সেই সিদ্ধান্ত জানাল। অর্থাৎ মন্দির খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বাঁক যাত্রা। মহন্ত মহারাজ জানিয়েছেন, প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে মেলা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রাবণ মাসে হুগলি জেলার সমস্ত গঙ্গার ঘাট বন্ধ রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে। জেলার কোনও শিব মন্দিরেই যেন বাঁক যাত্রা না হয় সে দিকে প্রশাসনকে নজর রাখার আবেদন করা হয়েছে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। তবে বাঁক যাত্রা বন্ধ থাকলেও মন্দির খোলা থাকবে। ভক্তরা চোঙার মাধ্যমে শিবের মাথায় জল ঢালতে পারবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
মহন্ত আরও জানিয়েছেন, মন্দিরে এক সঙ্গে ২০০ জন ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন। মন্দিরের গেটে কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে পৌরসভা এবং ব্লক আধিকারিককে। মন্দির খোলার সময়সীমা আগের থেকে বাড়ানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে গর্ভগৃহ বন্ধই থাকবে।
গত বছর একই কারণে শ্রাবণী মেলা বন্ধ ছিল। এই মেলাকে কেন্দ্র করে তারকেশ্বরে জনপ্লাবন দেখা যায়। পূণ্যার্থীরা গঙ্গা থেকে জল তুলে বাঁক কাঁধে প্রায় ৪০ কিলোমি়টার রাস্তা পায়ে হেঁটে তারকেশ্বরে পৌঁছন। তার পর শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো দিয়ে বাড়ি ফেরেন। প্রায় এক মাস ধরে মেলা বসে। গুরু পূর্ণিমা থেকে শুরু হয়ে শ্রাবণী মেলা শেষ হয় রাখি পূর্ণিমাতে।