শিক্ষিকা অঞ্জলি রায়। — নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের হাজিরা খাতায় সই করেছিলেন। তার কিছু পরেই শিক্ষিকার দেহ ভাসতে দেখা গেল নদীতে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই শিক্ষিকা। তবে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
মাথাভাঙা গার্লস হাই স্কুলের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষিকা অঞ্জলি রায় (৪৪)। তিনি মাথাভাঙা শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বুধবার তাঁর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায় কোচবিহারের সুটঙ্গা নদীতে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার স্কুলে গিয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। স্কুলের হাজিরা খাতায় সইও করেন তিনি। অঞ্জলির পরিবার সূত্রে জানা দিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মাথাভাঙা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চিত্রকণা সাহা বলেন, ‘‘আগামিকাল থেকে স্কুলের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছিল। তা নিয়ে সকলে ব্যস্ত ছিলেন। ওই শিক্ষিকা স্কুলে এসে এসে হাজিরা খাতায় সইও করেছেন। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর খবর আসে তাঁর মৃতদেহ সুটঙ্গা নদীতে পাওয়া গিয়েছে।’’
অঞ্জলির স্বামী সুনীল রায় জানিয়েছেন, গত ১০-১২ বছর ধরে মানসিক ভাবে অসুস্থ তাঁর স্ত্রী। এর আগেও অঞ্জলি কয়েক বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন সুনীল। তিনি বলেন, ‘‘অঞ্জলিকে সব সময় চোখে চোখে রাখা হত। আজ তিনি স্কুলে গিয়েছিলেন। তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে যায়।’’ মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।