ফাইল চিত্র।
‘ইয়াস’ মোকাবিলা নিয়ে সোমবার মালদহে সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর)-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় ইয়াস মোকাবিলায় সেচ দফতরের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার খোঁজ নেন তিনি। এ ছাড়া এ দিন গৌড়বঙ্গের তিন জেলাতেও ইয়াস মোকাবিলা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করেন জেলাশাসকেরা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তিন জেলাতেই জেলাস্তরের পাশাপাশি ব্লকস্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। মালদহে আবার সেচ দফতরের তরফে পৃথক কন্ট্রোলরুম চালু করা হয় এ দিন থেকেই।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ইয়াসের প্রভাব মালদহ-সহ গৌড়বঙ্গের তিন জেলাতেই পড়তে পারে। কৃষি দফতরের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মালদহে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা ছাড়াও অন্যত্র ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও আছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠক করে তার রূপরেখা তৈরি করেছে। জেলা ও ব্লক স্তরে কন্ট্রোলরুম চালু, সিভিল ডিফেন্সের দু’টি কুইক রেসপন্স টিম কাজ করবে। জেলার দুই পুরসভা-সহ সেচ, পূর্ত, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ দিন সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (উত্তর) ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মালদহে বৈঠক শেষে সাবিনা বলেন, ‘‘ইয়াসের প্রভাবে মালদহ জেলায় ঝড়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলায় প্রচুর বাঁধ রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বাঁধে রেইন-কাট হতে পারে। সে জন্য বালির বস্তা মজুত রাখা হয়েছে।’’
বৈঠকে ইয়াস নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, ‘‘জেলা ছাড়াও ব্লক স্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বিডিও এবং এসডিও-দের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী রাখতে বলা হয়েছে।’’ ইয়াস মোকাবিলায় সোমবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা বন, কৃষি, বিদ্যুত, সেচ, স্বাস্থ্য, বিপর্যয় মোকাবিলা-সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা। তিনি বলেন, “ইয়াস মোকাবিলায় জেলার সমস্ত সরকারি দফতর প্রস্তুত। সর্বক্ষণের জন্য কন্ট্রোলরুমও চালু করা হয়েছে।”
তথ্য সহায়তা: জয়ন্ত সেন, গৌর আচার্য ও শান্তশ্রী মজুমদার