চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরে ‘লিঙ্ক ফেলিওর’ বোর্ড ঝোলানো রয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
মাসের প্রথম কয়েক দিনে রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরে টাকা তোলা বা জমা রাখতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকেরা। তাঁদের দাবি, প্রায় প্রতি মাসের গোড়াতেই ডাকঘরে ইন্টারনেট লিঙ্ক সংক্রান্ত সমস্যা থাকছে। যার জেরে টাকা লেনদেনে নাজেহাল হতে হচ্ছে। অবশ্য গ্রাহকদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে দ্রুত এর সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকেরা জানিয়েছেন, চলতি মাসের প্রথম দিন থেকেই ডাকঘরে ‘লিঙ্ক ফেলিওর’ বোর্ড ঝোলানো রয়েছে। গত তিন দিন ধরেই লাগাতার এই সমস্যা চলছে। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকেরা। বিশেষ করে পেনশন বা মাসিক আয় যোজনার সুদের টাকায় যাঁদের সংসার চলে, তাঁরা ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে দাবি। প্রতিদিনই ডাকঘরে এসে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে খালি হাতেই ঘুরে যেতে হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন ওই গ্রাহকেরা। কবে এই সমস্যা মিটবে, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হচ্ছে না বলেও ডাকঘরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে৷ বহু গ্রাহকের বক্তব্য, প্রায় প্রতি মাসেই লিঙ্ক সংক্রান্ত সমস্যা থাকছে। এই হয়রানি থেকে কবে মুক্তি পাবেন, তার কোনও নির্দিষ্ট উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি গ্রাহকদের।
ডাকঘরের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গিয়ে রীতিমতো নাকাল হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা সান্ত্বনা বর্মণ। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকেই ডাকঘরে এসে ফিরে যাচ্ছি। লিঙ্ক না থাকায় সময় মতো টাকা জমা দেওয়া বা তোলা যাচ্ছে না।” ডাকঘরে এসে নাজেহাল অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অতুলকৃষ্ণ দেবও। তিনি বলেন, “আমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছে। এই টাকাতেই সংসার চলে। রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরেই আমার সব অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু প্রতি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যেই লিঙ্ক সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা হচ্ছে। আমাদের মতো সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য যদি কোনও ব্যবস্থা করা যায়, তবে সুবিধা হয়।”
গ্রাহকদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরের আধিকারিক ঈতিকা চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, “লিঙ্কের সমস্যা নয়। এখানে সার্ভার বসে গিয়েছে। তা ঠিক হতে সময় লাগবে। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” যদিও কবে নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে বিনা সমস্যায় টাকা তুলতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দিহান গ্রাহকেরা।