ছবি পিটিআই।
লকডাউন শিথিল হতেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ছে ভি়ড়। এই পরিস্থিতিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রায়গঞ্জ পুরসভা। পুরসভার দাবি, আজ, বুধবার থেকে শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডিজিটাল থার্মাল গান স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে বাসিন্দাদের শরীরে জ্বর রয়েছে কিনা, তা দেখবেন। কারও জ্বর ধরা পড়লে স্বাস্থ্যকর্মীরাই তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ফিভার ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাসের বক্তব্য, “সরকারি নির্দেশে লকডাউন শিথিল হয়েছে। ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভিড় বাড়ছে। কিন্তু, করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তাই পুরসভার তরফে শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বাসিন্দাদের থার্মাল স্ক্রিনিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের কাজে পুরসভার ৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজে লাগাবেন পুর-কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পুরসভার তরফে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, টুপি ও পিপিই দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও রাজ্য সরকারের তরফে পুরসভাকে ১৫টি ডিজিটাল থার্মাল গান স্ক্যানার মেশিন বরাদ্দ করা হয়েছে। পুরপ্রধানের দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীরা ২৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাজার, রাস্তা, পাড়া ও নানা জনবহুল এলাকায় ঘুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে থার্মাল গান স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে দূর থেকে বাসিন্দাদের জ্বর মাপবেন। কারও জ্বর ধরা পড়লে তাঁরা নাম, বয়স, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করা হবে। এর পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা বিষয়টি পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তাদের জানাবেন। পুরসভার তরফে ওই এলাকায় কোভিড চিকিৎসার কাজে নির্ধারিত অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরাই জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ফিভার ক্লিনিকে নিয়ে যাবেন। পুরপ্রধানের দাবি, সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওই ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
হাসপাতালের সুপার তথা সহকারী অধ্যক্ষ প্রিয়ঙ্কর রায় ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, করোনা মোকাবিলার কাজে হাসপাতাল ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর পুরসভাকে সব রকম সহযোগিতা করবে।