কেমন আছেন সইফ আলি খান? ছবি: সংগৃহীত।
দুষ্কৃতীর আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত সইফ আলি খান। খবর, ছ’বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে তাঁকে। রক্তাক্ত, অচৈতন্য অভিনেতাকে তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করান ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। চিকিৎসকেরা দ্রুত অস্ত্রোপচার করেন তাঁর। পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, অস্ত্রোপচার সফল। স্থিতিশীল সইফ। জ্ঞান ফিরেছে অভিনেতার। আপাতত এক সপ্তাহ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধান ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারবেন না তিনি। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
পাশাপাশি, আইসিইউ থেকে শুক্রবার সকালে তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিনেতাকে হাঁটিয়েওছেন চিকিৎসকেরা। পরিবারের সদস্য এবং খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া অভিনেতার কাছে আর কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসকদের মতে, সব ঠিক থাকলে শুক্রবার হাসপাতাল থেকে সইফ ছাড়া পেতেও পারেন। সবটাই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপর।
অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন লীলাবতী হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার চিকিৎসক নীরজ উৎমানি। তিনি জানিয়েছেন, অভিনেতাকে এক দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বেশি সময় তাঁকে হাসপাতালে রাখা হতে পারে। ভর্তি করানোর সময় অভিনেতার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ছুরির গেঁথে যাওয়া অংশ শরীর থেকে বার করতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লেগেছিল। তাঁর মতে, একাধিক ছুরির আঘাত এবং তার ফলে রক্তপাত, সেই সঙ্গে অস্ত্রোপচারের ধকল— সব মিলিয়ে আপাতত টানা বিশ্রাম এবং চিকিৎসার প্রয়োজন সইফের।
চিকিৎসকের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিনেতার শরীরে ছ’টি ছুরির আঘাত রয়েছে— দু’টি ছোট, দু’টি মাঝারি এবং দু’টি বড় এবং গভীর। যার একটি মেরুদণ্ডের কাছে।
অস্ত্রোপচারের পর করিনা কপূর খান, সারা আলি খান, ইব্রাহিম আলি খান বৃহস্পতিবার হাসপাতালে দেখা করতে যান অভিনেতার সঙ্গে। সকলের আগে সেখানে পৌঁছন শাহরুখ খান। সন্ধ্যার পর মা শর্মিলা ঠাকুর মেয়ে সোহা আলি খানকে নিয়ে ছেলের কাছে যান। লীলাবতী হাসপাতালে পরে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন আলিয়া ভট্ট, রণবীর কপূর, কুণাল খেমু, সিদ্ধার্থ আনন্দ, করিশ্মা কপূর এবং আরও অনেকে।