Coronavirus

পাহাড়ের মানুষ বেশি সচেতন, খুশি জোশী

হ্যাপি ভ্যালি চা বাগানে গিয়ে সেখানে নিয়ম মেনে লকডাউন পরিস্থিতিতে ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে কি না, সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২০ ০৮:২৫
Share:

পাহাড়ের রাস্তায় কেন্দ্রীয় দল। নিজস্ব চিত্র

বৃষ্টি ভেজা শৈল শহরে এমনিতেই বাজারে ভিড় ছিল না। তবে চকবাজার লাগোয়া বাজারে ব্যবসায়ীরা পসরা নিয়ে বসেছিলেন। আনাজ-মান্ডিতে ঢুকে ক্রেতা, বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আনাজ ব্যবসায়ীরা মাস্ক পরছেন, স্যানিটাইজ়ার রাখছেন দেখে প্রশংসা করেন। খদ্দের এলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কি না জানতে চান। আবার লকডাউনের মধ্যেও শপিং মল খোলা দেখে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতির খোঁজ নেন। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। ইডেন জেলা হাসপাতালে ঢুকে সেখানকার পরিকাঠামো, পরিষেবা নিয়ে খোঁজ করেন। এ ভাবেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা বিনীত জোশীকে নিয়ে তিন সদস্য দার্জিলিং শহর ঘুরে পাহাড়ে লকডাউন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন।

Advertisement

হ্যাপি ভ্যালি চা বাগানে গিয়ে সেখানে নিয়ম মেনে লকডাউন পরিস্থিতিতে ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে কি না, সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। শ্রমিকেরা মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করছেন কী ভাবে তা জানতে চান।

শৈলশহর ঘুরে বিনীত জোশী বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির চেয়ে পাহাড়ে পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। লকডাউন মানা হচ্ছে। যদিও এদিন বৃষ্টিতে লোক কম রয়েছে। বাজারে ব্যবসায়ীরা নিয়ম মানছেন। এটা ভাল।’’ তবে লেডেন লা রোডে শপিং মল খোলা দেখেন। লকডাউনে তা কেন খোলা রয়েছে, তা নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের রিপোর্ট চাইবেন বলে জানান। ছোট কাকঝোড়াতেও একটি বহুজাতিক সংস্থার মার্কেট কমপ্লেক্সে যান। সেখানে বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কি না, খোঁজ নেন। পরে ইডেন হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিনিধিদলকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা প্রস্তুত রয়েছেন। সন্দেহভাজন রোগী এখন নেই। এমন কেউ এলে নমুনা পরীক্ষার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

উদ্বেগ ছিল ভারত-নেপাল সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়েও। তাই সবার প্রথমে এই সীমান্ত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করে জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই হেল্থ চেকপোস্ট বসিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। লকডাউন পরিস্থিতিতে সীমানা, সুখিয়াপোকরির মতো ভারত-নেপালের সীমান্ত এলাকাগুলি এদিন ঘুরে দেখল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মিরিক হয়ে ওই এলাকাগুলো ঘুরে শৈলশহরে যান তাঁরা। সীমানা এলাকায় নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের।

এরই মধ্যে সাংসদদের জোর করে ঘরবন্দি করে রাখার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এ দিনও গঙ্গারামপুরের ঠেঙাপাড়ায় ত্রাণ দিয়ে ফেরার পথে তপনের রামপুরে বালুরঘাটের সাংসদের পথ আটকায় পুলিশ। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা বিষয়টি দেখছেন কি না? বিনীত জোশী বলেন, ‘‘কেউ আমাদের এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাননি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপেও বিষয়টি জানাতে পারেন। অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’’ বালুঘাটের সাংসদ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement