প্রতীকী ছবি।
কোথা থেকে কোন ট্রেন এনজেপি আসবে, তাতে কোন এলাকার শ্রমিকরা থাকবেন, এমন একটি সূচি গত কয়েকদিন ধরে ঘুরছে। সেই বিষয়ে কোনও খবরই নেই জেলা প্রশাসনের কাছে। বিষয়টি নিয়ে কিছু জানা নেই বলে জানাচ্ছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারাও। যার ফলে বিশ বাঁও জলে ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া উত্তরবঙ্গের শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বিষয়টি। আর এই নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে।
গত শুক্রবার থেকে ট্রেনের ওই তালিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সকলের কাছে। রবিবার বিকেলে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের তরফে এনজেপি বা উত্তরবঙ্গের দিকে কোনও শ্রমিক ট্রেন চালানোর আবেদন জমা পড়েনি। লকডাউনের সময় রেল নিজে থেকে কোনও যাত্রীট্রেন চালাতে পারে না।’’ জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের আসার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাইনি। কতজন ফিরবেন তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে প্রস্তুতি রয়েছে।’’ তবে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর বেশ কিছু শ্রমিক কলকাতা পর্যন্ত ফিরে বাসে উত্তরবঙ্গে আসার চেষ্টা করছেন।
তাহলে ওই তালিকাটি কি ঠিক নয়? রেলকর্তাদের দাবি, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল ওই সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করেনি। তাই তা নিয়ে বলা সম্ভব নয়। রেলের একটি সূত্রে দাবি, বেঙ্গালুরু থেকে রওনা হওয়া দু’টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন ত্রিপুরা ও মনিপুর যাবে। সোম ও মঙ্গলবার সেটি এনজেপি দাঁড়াবে, তবে সেখানে নামা যাবে না। প্রশ্ন উঠেছে এনজেপির উপর দিয়ে যেখানে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন যাচ্ছে, সেখানে উত্তরবঙ্গের শ্রমিকদের জন্য কেন ট্রেন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অমলমোহন ঠাকুর বলেন, ‘‘যে রাজ্য স্পেশ্যাল ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়েছে, তাদের প্রয়োজন অনুসারে সেই ট্রেনের যাত্রী বাছাই এবং স্টপেজ ঠিক হচ্ছে।’’
এটা নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) প্রবীণ আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘রেল নিয়ে বলতে পারব না তবে আমাদের কাছে বেঙ্গালুরুতে আটকে থাকা দার্জিলিঙের ১০০ শ্রমিকের তালিকা রয়েছে। রাজ্য সরকার সেই তালিকা নিচ্ছে না, নিজেরাও তালিকা করেনি।’’