প্রতীকী ছবি।
পুজোর পরে শহরে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরাই। তার মধ্যেই মঞ্চ বেঁধে বিজয়া সম্মিলনীতে মাতল বিজেপি। বিজেপির যুব মোর্চার উদ্যোগে রবিবার জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলার মাদ্রাসা মাঠে ওই অনুষ্ঠান করা হয়। অভিযোগ, অনুষ্ঠানের মঞ্চে বা সামনের ভিড়ে কোথাও দূরত্ব বিধি মানা হয়নি। যদিও সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে সবরকম বিধি মেনেই তারা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের অনুষ্ঠানের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কোতোয়ালি থানার আইসি বিপুল সিংহ বলেন, ‘‘পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না। এত ভিড় কী ভাবে হল দেখা হচ্ছে।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে সব ব্লকের বিজেপি নেতা-কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন। অভিযোগ, মঞ্চে সামাজিক দূরত্ব বজায় ছিল না। মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসে থাকা নেতা-কর্মীদের একাংশের মধ্যেও ছিল না সচেতনতা। অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না বলে অভিযোগ। এখন জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ন'হাজার অতিক্রম করেছে। তারপরেও অনেকের সচেতনতা ফেরেনি বলে অভিযোগ। এ দিনের অনুষ্ঠানেও বিধিভঙ্গের ছবি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ রায়, বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ, বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত চক্রবর্তী প্রমূখ। যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল লকডাউনের মধ্যে মিছিল করে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয়া সম্মিলনী করেছি। তৃণমূল করতে পারে, আমরা করলেই দোষ।’’
জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ, পুরসভা কারও অনুমতি নেওয়া হয়নি অনুষ্ঠান করার জন্য। রাজনীতির জন্য মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছে বিজেপি। মানুষ ঠিক সময়ে জবাব দেবে।’’