মতামত: জেলা প্রশাসনের বৈঠক ডুয়ার্সকন্যায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে জেলার বড় হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সদ্যোজাত ও শিশুদের কথা ভেবে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে একটি নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (নিকু) ও একটি পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু) গড়তে চাইছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার, ডুয়ার্সকন্যায় বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। এ দিকে, মজুত প্রতিষেধক শেষ হয়ে যাওয়ায় এ দিন আলিপুরদুয়ার জেলার একাধিক কেন্দ্রে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ কার্যত বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়েই এ দিন বিকালে ডুয়ার্সকন্যায় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বৈঠকে জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) গিরীশচন্দ্র বেরা-সহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে জেলার তিনটি বড় হাসপাতালে সিসিইউ চালু, শিশুদের জন্য শয্যা বরাদ্দ ও সেফ হোম হিসাবে ৫০টি স্কুলকে চিহ্নিত করা এমন বিভিন্ন প্রস্তুতি জেলায় শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে ওই বিষয়গুলি নিয়েই পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে সিএমওএইচ বলেন, “সদ্যোজাত ও শিশুদের কথা মাথায় রেখে জেলা হাসপাতালে একটি নিকু ও একটি পিকু খোলার ব্যাপারে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।” বৈঠকে জেলা প্রশাসনের তরফে আটটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও ৪০টি পালস অক্সিমিটার স্বাস্থ্যকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে প্রতিষেধকের জোগান কমে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছে আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বেশকিছু কেন্দ্রে প্রতিষেধকের মজুতও শেষ হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে এ দিন আলিপুরদুয়ার শহরের সূর্যনগরের বদলে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবীণদের জন্য একটি প্রতিষেধক কেন্দ্র চালু করা হয়। স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, প্রতিষেধকের জোগান স্বাভাবিক হয়ে গেলেই এই সমস্যা মিটে যাবে।