—প্রতীকী ছবি
দলবদলের জেরে কমেছে বিধায়ক সংখ্যাও। তাই গড় ধরে রাখতে মালদহের কোতুয়ালি ভবনে ‘কৌশলী’ বৈঠক করল কংগ্রেস। বুধবার দুপুরে জেলা, ব্লক এবং দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক জাভেদ খান। তাঁর কাছে বামেদের সঙ্গে দ্রুত আসন সমঝোতার দাবি জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, গত বিধানসভা ভোটে জেলায় একাধিক আসনে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়নি। সেক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হয়েছিল। এবারের বিধানসভা ভোটে সেই জটের পূনরাবৃত্তি চাই না কংগ্রেস। তবে জেলা কমিটিকেই আসন সমঝোতার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন জাভেদ। তিনি বলেন, “আসন নিয়ে জেলা কমিটি তালিকা করে প্রদেশ কংগ্রেসের কাছে পাঠিয়ে দেবে।” বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপির প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “মালদহে এবার আমরা ১২টি আসনেই জিতব।”
গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা ধাক্কা খেলেও সাফল্য মিলেছিল মালদহে। জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হন বাম-কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূল খাতা খুলতে না পারলেও একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। দলবদলের পরে জেলায় সিপিএমের বিধায়ক সংখ্যা শূন্য। আর আটটির মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা এখন ছটি। এ বারের পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটেও জেলায় ধাক্কা খায় কংগ্রেস। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে গড় ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। তাদের দাবি, গত বিধানসভা ভোটে মালতীপুর এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হয় বামেদের সঙ্গে। তাই এবারে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রথম থেকেই সতর্ক দল। বিধায়ক মোত্তাকিম আলম বলেন, “কে, কোথায় লড়াই করবে তা আগাম ঠিক করা প্রয়োজন। আসন সমঝোতায় দেরি হলে মানুষের কাছে পৌঁছতে সমস্যা হবে।”
এ দিন কোতুয়ালি ভবনে বৈঠকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে একাধিক নির্দেশ দেন জাভেদ। ভোটের আগে জেলার ব্লক, অঞ্চল এবং বুথ কমিটি দ্রুত গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে জেলা নেতৃত্বকে মাঠে-ময়দানে নেমে আন্দোলনেরও নির্দেশ দিয়েছেন জাভেদ। এ প্রসঙ্গে আবু হাসম খান চৌধুরী বলেন, “জেলায় সংগঠন আরও মজবুত করতেই বৈঠক হয়েছে।”