উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার মঙ্গলবার অবসর নিলেন। একই সঙ্গে মেয়াদ ফুরোল অস্থায়ী রেজিস্ট্রারেরও। উপাচার্যহীন অবস্থায় এই দুই আধিকারিক আজ, বুধবার থেকে না থাকায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জটিলতা বাড়ল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মীদের বেতনের চেকে মাসের প্রথম দিন সই করে ব্যাঙ্কে পাঠানো হলে, তবে সকলের বেতন হয়। ফিনান্স অফিসার এবং ডেপুটি ফিনান্স অফিসার যৌথ ভাবে চেকে সই করেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, উপাচার্যহীন থাকায়, এ বার ফিনান্স অফিসার এবং অস্থায়ী রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব কাউকে দেওয়া যাচ্ছে না। উচ্চ শিক্ষা দফতরে তা জানানো হলে, তারা জানতে চেয়েছে, কেন স্থানীয় ভাবে তথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সে ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কোথায় আটকাচ্ছে তা জানাতে। সোমবার তা জানানো হয়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে ফের কোনও লিখিত নির্দেশ আসেনি।
মার্চের বেতনের জন্য মঙ্গলবার চেকে আগাম সই করে দিয়েছেন বিদায়ী ফিনান্স অফিসার। তাতে মার্চের বেতন আটকে যাওয়ার আশঙ্কা দূর হয়েছে। তবে ফিনান্স অফিসার না থাকলে, এর পরে বেতন কী ভাবে হবে, হস্টেলে পড়ুয়াদের খাবার খরচ, সেমিনারের খরচ যা ৩০ মার্চের আগে করতে হবে, অন্য খরচের অনুমোদন আটকে যাবে। জয়েন্ট রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।’’
আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বৈঠকে রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের জট খুলেছে। তবে উত্তরবঙ্গ বা হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ‘সার্চ কমিটি’ উত্তরবঙ্গের সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর নাম বেছে আচার্যের কাছে পাঠিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি আচার্য তাঁদের ডেকে কথাও বলেছেন রাজভবনে। তবে তাঁর দফতর চূড়ান্ত কিছু জানায়নি। তা নিয়েও শিক্ষক, আধিকারিক মহলে প্রশ্ন রয়েছে।