Sand Mafia

পুরকর্মীদের ‘হুঁশিয়ারি’ বালি মাফিয়াদের

তোর্সা নদীর বালি চুরির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। শুধু তোর্সা নয়, রায়ডাক, ধরলা, মানসাই, তিস্তা-সহ কোচবিহারের একাধিক নদী থেকে বালি চুরির অভিযোগে রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৪
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তোর্সা নদীর কাছে কোচবিহার পুরসভার ভাগাড়। সেখানে আবর্জনা ফেলতে প্রতিদিন পুরসভার গাড়ি যাতায়াত করে। এ দিকে অভিযোগ, বিকেলের পরে তোর্সা নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালি তুলে ওই পথেই ট্রাক ও ট্রলিতে পাচার করা হয়। যে কাজে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরসভার গাড়ি। পুরকর্মীদের অভিযোগ, পাচারে ‘বাধা’ পাওয়ায় পুরকর্মীদের ওই পথে যেতে নিষেধ করে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বালির অবৈধ কারবারে ‘জড়িতেরা’। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ মহকুমাশাসক (কোচবিহার সদর) কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

তোর্সা নদীর বালি চুরির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। শুধু তোর্সা নয়, রায়ডাক, ধরলা, মানসাই, তিস্তা-সহ কোচবিহারের একাধিক নদী থেকে বালি চুরির অভিযোগে রয়েছে। অন্তত পক্ষে তিরিশটি জায়গা থেকে প্রতিদিন বেআইনি ভাবে বালি তুলে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। কোচবিহার শহর ঘেঁষে তোর্সা নদী। সে নদীর বালি মূলত ‘ভরাট’ করার কাজে ব্যবহার হয়। তার চাহিদাও রয়েছে। ব্যাংচাতরা রোডের শেষ মাথা তোর্সা নদীর কাছাকাছি গিয়েছে। সেখানেই পুরসভার ভাগাড়। ভাগাড় থেকে কিছু দূর এগিয়েই নদীর চর এলাকা। সেই চর থেকেই বেআইনি বালি তোলা হয় বলে অভিযোগ। বিকেলের পর থেকে ওই কারবারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। কারবার চলে সকাল পর্যন্ত। সব মিলিয়ে প্রতিদিন শতাধিক গাড়িতে বালি তোলা হয় বলে অভিযোগ। গাড়িগুলি ভাগাড়ের রাস্তা ধরেই বের হয়। দু’টি গাড়ি এক সঙ্গে যাতায়াতে সমস্যা হয়। তার উপরে রয়েছে নজরে পরে যাওয়ার ভয়ে। সে কারণেই ভাগাড়ের গাড়ির পুরকর্মীদের ‘হুঁশিয়ারি’ দেওয়ার অভিযোগ
উঠেছে বালির অবৈধ কারবারে ‘জড়িতদের’ বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement