ধূপগুড়িতে উদ্ধার হওয়া চাইনিজ ফেরেট ব্যাজার— নিজস্ব চিত্র।
চাইনিজ ফেরেট ব্যাজারের দেখা মিলল ধূপগুড়িতে। মঙ্গলবার দুপুরে ধূপগুড়ির পাইকারপাড়া গ্রামে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। প্রথমে সুপারি বাগানের মধ্যে প্রাণীটিকে দেখতে পান গ্রামের যুবক উৎপল রায়। কোনও রকমে প্রাণীটিকে বস্তাবন্দি করে খবর দেন, ধূপগুড়ির পশুপ্রেমী সংস্থা ‘অ্যানিম্যাল লাভার্স’কে।
সংগঠনের সদস্যেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ধূপগুড়িতে। খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের। তাঁরা এসে প্রাণীটিকে নিয়ে যান। বন দফতর জানিয়েছে, ব্যাজারটির চিকিৎসা শুরু হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে সেটিকে জঙ্গলে ছাড়া হবে ।
এই প্রজাতির প্রাণী আগে তাঁরা দেখেননি বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। বনকর্মীরা আসার আগে ‘অ্যানিম্যাল লাভার্স’-এর সদস্যেরা প্রাথমিক শুশ্রুষা করেন প্রাণীটিকে। তাঁদের দাবি, কুকুর বা অন্য কোনও প্রাণী কামড়েছিল ফেরেট ব্যাজারটিকে।
বন দফতর সূত্রের খবর, গভীর জঙ্গল, পাহাড়ি এলাকা, নদী লাগোয়া জঙ্গলে এরা সাধারণত থাকে। ডুয়ার্সের জঙ্গলে এদের দেখা মেলে। প্রাণীটি দেখতে অনেকটা বড় মাপের কাঠবেড়ালির মত। লম্বায় প্রায় ১৬ ইঞ্চি । পায়ের আঙুলগুলি ভাল্লুকের মত বাইরে বেরিয়ে থাকে। গায়ের রং কালো তার উপর সাদা দাগ রয়েছে। লেজটি কাঠবেড়ালির মত লোমশ। সাধারণত এরা শান্ত প্রকৃতির। তবে ক্ষিপ্ত হলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
অ্যানিম্যাল লাভার্স-এর সদস্য অনিকেত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গ্রামের এক যুবক ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাণীটিকে প্রাথমিক শুশ্রূষা করি। এরপর বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’’ জলপাইগুড়ির অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী জানান, প্রাণীটি সম্ভবত পথ ভুল করে বা খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছিল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে শেষ বার চাইনিজ ফেরেট ব্যাজার উদ্ধার হয়েছিলো ধূপগুড়ি থেকে।