এখনও মেলায় খোলা কিছু দোকান। — নিজস্ব চিত্র।
সদ্য শেষ হয়েছে কোচবিহারের রাসমেলা। ওই মেলায় এ বার রেকর্ড পরিমাণে ব্যবসা হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মোট কত টাকার ব্যবসা হয়েছে তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ী সমিতির মতে, মেলার দিন আরও বাড়ানো হলে টাকার অঙ্ক আরও বাড়ত।
গত কয়েক বছর ধরে কোচবিহারের রাস মেলায় কোপ বসিয়েছিল করোনা অতিমারি। সেই কারণে ব্যবসা তেমন হয়নি বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে এ বার তাঁদের সেই খেদ অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছে রাস মেলা। দু’বছর পর এ বারের মেলার প্রথম দিন থেকেই ঢল নেমেছিল মানুষের। বহু ব্যবসায়ী দোকান বসিয়েছিলেন এই মেলায়। এ বার মেলাকে কেন্দ্র করে ভাল ব্যবসা হয়েছে বলেই দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। রবীন্দ্রনাথের দাবি, প্রায় ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে রাস মেলাকে কেন্দ্র করে। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন, রাস মেলার দোকানগুলির পাশাপাশি, এই মেলাকে কেন্দ্র করে যানবাহন, হোটেল, রেস্তরাঁ এবং থাকার হোটেল ধরলে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। বহু দিন বাদে এ বারের রাস মেলায় মানুষের ঢল নেমেছিল বলেও জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।
রবিবার শেষ হয়েছে রাস মেলা। মেলার আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হলেও, এখনও বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দেখা গিয়েছে সেই সব দোকানে ভিড়। শেষ বেলাতেও জোরকদমে চলছে কেনাবেচা। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজু ঘোষ জানিয়েছেন, মেলায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। তবে তাঁর আক্ষেপ, মেলার সময়সীমা বাড়ানো হলে আরও অনেক বেশি ব্যবসা হত।