প্রতীকী ছবি।
কারখানা চালু করতে বিদ্যুতের সমস্যা, জমি পেলেও নথিপত্র ঝুলে রয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে, ফায়ার লাইসেন্স তড়িঘড়ি প্রয়োজন বা ট্রেড লাইসেন্স প্রশাসনিক জটিলতায় ঝুলে রয়েছে— শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের এমন হাজার একটা সমস্যা নিয়ে বণিকসভা সিআইআইয়ের নর্থবেঙ্গল কনক্লেভ অ্যান্ড সিনার্জি-২০২১ হতে চলেছে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার জেলাশাসক, দমকল, জমি, বিদ্যুৎ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদের পদস্থ অফিসারেরা উপস্থিত থাকবেন। ডিসেম্বরে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের সমস্যা, সম্ভাবনা নিয়ে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় বৈঠক হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ উপস্থিত ছিলেন।
আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার শিল্প, কলকারখানার সমস্যা মেটাতে চলতি মাসের শেষে ২১-২২ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে কনক্লেভটি হবে। সমস্ত শাখা সংগঠন, সদস্যদের বণিকসভার পক্ষ থেকে যোগ করে বিষয়টি জানানো শুরু হয়েছে। বলা হয়েছে, শিল্প-কারখানা চালাতে বা তৈরি করতে সমস্যা থাকলে তা নির্দিষ্টভাবে জানান। কনক্লেভে সেগুলি নথিবদ্ধ করে জেলাশাসকদের সামনে তুলে ধরবে। সিআইআইয়ের নর্থবেঙ্গল জোনাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সঞ্জিৎ সাহা বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে এক ছাতার তলায় এনে ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের সমস্যা মেটাতেই এই কনক্লেভ।’’
করোনার পর মূলধনের অঙ্কের হিসাব বদল করায় বহু সংস্থা বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের আওতায় এসে সরকারি সুযোগ সুবিধার জন্য নাম নথিভুক্ত করা শুরু করেছে। ২০২০ সালের শুরুতে অনেকে জমি নিয়ে কারখানার কাজ শুরু করলেও তা থমকে ছিল। এখন সেগুলির কাজ পুরোদমে চলছে।
এই সব মিলিয়ে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যার প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা। উদাহরণস্বরূপ তাঁরা জানিয়েছেন, ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন ব্যবস্থাই নেই। আবার ফায়ার লাইসেন্সের থাকলেও তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। বিল্ডিং প্ল্যান, ফাক্টারি লাইসেন্স পেতে অনেকে হয়রান হন বলে
অভিযোগ সামনে আসে। তেমনিই, বিদ্যুতের টাকা জমা দিলেও সংযোগের সমস্যা, কোনও ক্ষেত্রে ভোল্টেজ, ট্রান্সফর্মারের জন্য কাজ আটকে থাকে। তেমনিই, জেলা জেলায় ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও সরকারি নো অবজেকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সিআইআইয়ের জোনাল কাউন্সিলের কয়েক জন সদস্য জানান, গোটা বছরই বণিকসভার তরফে শিল্পপতিদের সমস্যা নিয়ে কাজ করা হয়। কনক্লেভে এক ছাতার তলায় পাঁচ জেলার সব প্রশাসনিক কর্তাকে আনা হচ্ছে। সেখানেই তাঁরা শিল্পপতিদের সমস্যা, অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ দিতে পারবেন।