—প্রতীকী চিত্র।
সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় হঠাৎ করে শুরু হয়েছে মোবাইল বিভ্রাট। মোবাইল নেটওয়ার্ক মেলাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমান্তের গ্রামে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ফোন করা অথবা মোবাইলে ফোন আসা দুই-ই সমস্যা বলে দাবি করছেন বাসিন্দারা। সীমান্তের ও পাড়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা এবং সে দেশের নাগরিকদের এ দেশে ঢুকতে চাওয়ার চেষ্টার সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।
পুলিশ এবং বিএসএফ এই সমাপতনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। তবে এরই মাঝে পুলিশের একটি সতর্কবার্তা সামনে এসেছে। পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকার গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে ও পাড়ের বাসিন্দাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের একাংশের সম্মতিতেই বাংলাদেশের দিকে মানুষজন জড়ো হয়েছিল বলে দাবি। বিএসএফের তরফেও এই ‘যোগাযোগে’র কথা স্বীকার করা হয়েছে৷ তার পরেই মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সীমান্ত এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থার নেটওয়ার্কই বেশি দৃঢ়। সেই সংস্থার জলপাইগুড়ির এক আধিকারিক বলেন, “এ সব বিষয় নিয়ে আমাদের তরফে মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই।”
রবিবার নতুন করে জলপাইগুড়ি জেলার সীমান্ত এলাকায় কোনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়নি। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার উমেশ গণপত খণ্ডবহালে বলেন, “জেলার সবকটি সীমান্ত সুরক্ষিত এবং শান্তিপূর্ণ রয়েছে।” সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় বিএসএফের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকও হয়েছে।
বিএসএফের ধন্ধ বাড়িয়েছে প্রবেশের চেষ্টায় জড়ো হওয়া ভিড়ে নারী-পুরুষের অনুপাত। প্রথমে দক্ষিণ বেরুবাড়ি তার পরে শীতলখুচি এলাকায় এ পারে আসার চেষ্টা হয়েছিল। তবে এই চেষ্টায় জড়ো হওয়া ভিড়ে মহিলা এবং শিশু প্রায় ছিল না বলেই দাবি বিএসএফের, পুরুষের সংখ্যাই বেশি ছিল। অন্য দিকে, অস্থিরতার কারণে ও পার থেকে বাসিন্দাদের এ পারে আসা কমেছে। তার প্রভাব পড়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও। শিলিগুড়িতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির একাংশ বাংলাদেশের রোগীদের উপর নির্ভরশীল। তাতে আয়ের একাংশ আসত পড়শি দেশের রোগীদের মাধ্যমে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের অনেক রোগী শিলিগুড়িতে আসতে পারছেন না বলে বেসরকারি হাসপাতাগুলির একাংশের তরফে জানানো হয়েছে। অনেক রোগী চিকিৎসকদের অনলাইনে চিকিৎসা করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন বলে দাবি। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের শিলিগুড়ির সম্পাদক শঙ্খ সেন বলেন, ‘‘বেসরকারি ক্ষেত্রেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। চেম্বারে যারা বসেন তাঁদের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের রোগী কম আসার খবর শুনেছি।’’