ছবি: সংগৃহীত।
দ্রুত উত্তরবঙ্গের আরও দুই জেলা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের আওতায় আসতে চলেছে। উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর— এই দুই জেলার বেঞ্চে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ হয়নি বলেই খবর। এ দিকে, প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দে সার্কিট বেঞ্চের স্থায়ী ভবনের জমিতে সীমানা প্রাচীর এবং ভিত তৈরির কাজও দ্রুত শুরু হতে চলেছে বলে খবর। সরকারি তরফে দাবি, সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি মাস থেকেই কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।
কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের এখন কাজ চলছে অস্থায়ী ভবনে। শহরের স্টেশন রোডে পুরনো জেলা পরিষদের ডাকবাংলো সংস্কার করে তৈরি হয়েছে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন। এখানে দু’টি ডিভিশন বেঞ্চ এবং দু’টি সিঙ্গল বেঞ্চের জন্য মোট চারটি এজলাস। আপাতত জলপাইগুড়ি ছাড়া আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ার জেলার মামলার শুনানি হয় এখানে। এখন দুই দিনাজপুরকেও এক্তিয়ারভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। দুই দিনাজপুর এলেও মালদহের মামলাগুলি এখনই সার্কিট বেঞ্চে আসছে না। আইনজীবীদের একাংশের দাবি, জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে স্থায়ী ভবন তৈরি হওয়ার পরেই মালদহের মামলাগুলি আসতে পারে।
সার্কিট বেঞ্চের সরকারি আইনজীবী অদিতিশঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “আমরা শুনেছি দুই দিনাজপুরকে জলপাইগুড়ি বেঞ্চের এক্তিয়ারে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে কোনও দিন হয়তো ঘোষণা হবে।”
করোনা আবহে আগামী সোমবার থেকে বেঞ্চের স্বাভাবিক কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দু’টি ডিভিশন বেঞ্চ এবং তিনটি সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি হবে। তার নির্দেশিকাও জারি হয়েছে। তবে এই পর্যায়ে দুই দিনাজপুর থাকছে না। আইনজীবীদের আশা, পরের কয়েকটি পর্বের শুনানির মধ্যেই নতুন দুই জেলা জুড়ে যাবে জলপাইগুড়ি বেঞ্চের সঙ্গে। নতুন জেলা জুড়লে মামলার সংখ্যাও বাড়বে। তার জন্য নতুন রেকর্ড রুম এবং অফিসও নেওয়া হয়েছে বলে খবর।