উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত ভবন থেকে উদ্ধার হল শতাধিক বোমা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মালদহের কালিয়াচক থানার নারায়ণপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে এ দিনই বিকেলে নিষ্ক্রিয় করে। রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিয়াচক থানার মোজমপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে নারায়ণপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দু’দশক আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইন্ডোর পরিষেবা চালু ছিল। ছিল ১০টি শয্যাও। চিকিৎসক, নার্সদের থাকার জন্য আবাসনও ছিল। তবে এখন শুধুমাত্র বহির্বিভাগেই পরিষেবা মেলে। প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বর্হিবিভাগের পরিষেবা পাওয়া যায়।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, তার পর থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত ভবনগুলি দুষ্কৃতীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ হয়ে ওঠে।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকদের পরিত্যক্ত আবাসনে প্লাস্টিকের জারে তাজা বোমা দেখতে পান স্থানীয় কয়েক জন। পাঁচটি প্লাস্টিকের জারে ছিল ১৪১টি তাজা বোমা। তার মধ্যে ৯৯টি বল বোমা এবং ৪২টি সুতলি বোমা।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এত পরিমাণে তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিত্যক্ত আবাসনগুলিতে সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের আনাগোনা শুরু হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসেই বোমাগুলি তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। পুলিশ জানিয়েছে, রঙিন বল দিয়ে বল বোমা তৈরি করা হয়েছে। কৌটো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সুতলি বোমা তৈরি করা হয়েছে। বোমা কেন মজুত করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের কর্তারা।
নারায়ণপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আফতাবউদ্দিন মিয়াঁ বলেন, ‘‘এখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুধুমাত্র বর্হিবিভাগের পরিষেবা চালু রয়েছে। দুপুর পর্যন্ত রোগী দেখার পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ফাঁকাই পড়ে থাকে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে প্রায় ৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন পরিত্যক্ত আবাসন রয়েছে।’’
এ দিনই বিকেলে উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে সিআইডি বম্ব স্কোয়াড। নারায়ণপুরের একটি আমবাগানে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’